Summer Vacation: গরমের ছুটি এগিয়ে এলেও পঠনপাঠন বিঘ্নিত হবে না তো? নির্দেশিকা জারি করে মুশকিল আসান শিক্ষা দফতরের

Summer Vacation: ২ মে থেকে স্কুলের গরমের ছুটি সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা ইতিমধ্য়েই প্রকাশ করেছে শিক্ষা দফতর। একইসঙ্গে গরমের ছুটির পর কী করণীয়, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Summer Vacation: গরমের ছুটি এগিয়ে এলেও পঠনপাঠন বিঘ্নিত হবে না তো? নির্দেশিকা জারি করে মুশকিল আসান শিক্ষা দফতরের
এগোচ্ছে গরমের ছুটি (গ্রাফিক্স - শুভ্রনীল দে)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 13, 2023 | 3:38 PM

কলকাতা: চৈত্র শেষ হওয়ার আগেই চাঁদিফাটা রোদ্দুর। ৪০ ডিগ্রি পেরিয়ে গিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার তাপমাত্রা। তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়েছে কলকাতাতেও। সবথেকে খারাপ অবস্থা পশ্চিমের জেলাগুলিতে। চৈত্র শেষ হওয়ার আগেই যদি এই গরম হয়, তাহলে বৈশাখ-জৈষ্ঠে পরিস্থিতি কী হবে, তা ভেবেই দিশাহীন রাজ্যবাসী। চিন্তা বেড়েছিল অভিভাবক-অভিভাবিকাদেরও। এমন গরমের মধ্যে রোজ স্কুলে যেতে গেলে কচিকাঁচারা অসুস্থ হয়ে পড়বে না তো? সেই দুশ্চিতায় ছিলেন অভিভাবকরা। এমন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে স্কুলগুলির গরমের ছুটি (Summer Vacation of Schools) এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা দফতর (Education Department)। আগামী ২ মে থেকে রাজ্যে স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি পড়ে যাচ্ছে। প্রায় তিন সপ্তাহ এগিয়ে আনা হয়েছে গরমের ছুটি। ২ মে থেকে স্কুলের গরমের ছুটি সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা ইতিমধ্য়েই প্রকাশ করেছে শিক্ষা দফতর।

কিন্তু গরমের ছুটি এগিয়ে এলে, স্কুলের স্বাভাবিক পঠন পাঠনের কোনও সমস্যা হবে না তো? এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিল বিভিন্ন মহলে। তবে শিক্ষা দফতর থেকে গরমের ছুটি সংক্রান্ত নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, গরমের ছুটির পর আবার যখন স্কুল খুলবে, তখন এক্সট্রা ক্লাসের ব্যবস্থা করতে হবে শিক্ষকদের। তাড়াতাড়ি গরমের ছুটি পড়ে যাওয়ার ফলে পড়ুয়াদের স্কুলের পঠনপাঠন প্রক্রিয়া যেটুকু পিছিয়ে যাবে, সেই অংশটুকু পূরণ করে দিতে হবে এক্সট্রা ক্লাস নিয়ে। পাশাপাশি শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২ মে থেকে স্কুলগুলিতে গরমের ছুটির এই নির্দেশিকা দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার জন্য কার্যকর হবে না। পরবর্তী নির্দেশিকা না জারি হওয়া পর্যন্ত সেখানে স্বাভাবিক নিয়মেই স্কুলের পঠনপাঠন চলবে।

উল্লেখ্য, তীব্র গরমের নাজেহাল পরিস্থিতির মধ্যে ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় স্কুলগুলিতে ক্লাসের সময় সকালের দিকে এগিয়ে আনা হয়েছে। যাতে দুপুরের চাঁদিফাটা রোদ্দুর থেকে পড়ুয়াদের কিছুটা নিস্তার মেলে সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষগুলি।