School Dropout Survey: করোনাকালের স্কুলছুট পরিস্থিতি এখন কী রকম? রাজ্যজুড়ে শুরু ‘ড্রপ আউট সার্ভে’

School Dropout: করোনা কালে প্রচুর পড়ুয়ার ড্রপআউট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। সেই নিয়ে বর্তমানে কী পরিস্থিতি? তা খতিয়ে দেখতেই সমীক্ষা করছে শিক্ষা দফতর।

School Dropout Survey: করোনাকালের স্কুলছুট পরিস্থিতি এখন কী রকম? রাজ্যজুড়ে শুরু 'ড্রপ আউট সার্ভে'
রাজ্যজুড়ে হবে স্কুল ড্রপ আউট সার্ভে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 11, 2022 | 6:47 PM

কলকাতা : করোনা মহামারীর সময়ে স্কুলছুট পড়ুয়াদের শিক্ষার মূল স্রোতে ফেরাতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের থেকে কিছুদিন আগেই জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও এবং বিচারপতি বি আর গগৈ এই কথা বলার পরেই নড়েচড়ে বসেছে জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। স্কুলছুটদের পুরনারয় শিক্ষার মূল স্রোতে ফেরানো নিয়ে এবার তৎপর কমিশন। জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের নির্দেশ মেনে এবার রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে ড্রপআউট সার্ভে। একাধিক জেলার ডিআইরা ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন। করোনা কালে প্রচুর পড়ুয়ার ড্রপআউট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। সেই নিয়ে বর্তমানে কী পরিস্থিতি? তা খতিয়ে দেখতেই সমীক্ষা করছে শিক্ষা দফতর।

রাজ্যের শিক্ষা দফতরের এই রিপোর্ট জমা পড়বে জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের কাছে। জানা গিয়েছে করোনা কালে প্রচুর সংখ্যায় বাল্যবিবাহ হয়ে থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে কমিশন। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি জানিয়েছে, কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে অনেক পড়ুয়ারই অভিভাবকরা মারা গিয়েছেন। কিন্তু এমনও অনেক পড়ুয়া রয়েছে, যাঁদের বাবা-মা জীবিত, কিন্তু মহামারীর সময়ে নানাবিধ সঙ্কটময় পরিস্থিতির কারণে ওই পড়ুয়ারা পড়াশোনার মূল স্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। শীর্ষ আদালতের আশঙ্কা, অনেকের বাবা-মা কোভিডকালে কাজ হারিয়েছেন, আর তার সরাসরি প্রভাব পড়েছে ছোটদের শিক্ষার উপর।

যে সব পড়ুয়ার বাবা-মা উভয়েই বা অন্তত একজন এখনও জীবিত রয়েছেন, তাদের পড়াশোনা যাতে কোনওভাবে বিঘ্নিত না হয়, তার জন্য এর আগে বেশ কিছু নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাল স্বরাজ পোর্টালে যে তথ্য দেখা যাচ্ছে, তাতে সেই প্রতিফলন পাওয়া যাচ্ছে না বলেই মন্তব্য করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। বিষয়টি শুধু জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনকেই নয়, সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির শিক্ষা দফতরও যাতে গুরুত্ব দিয়ে দেখে, সেই কথা বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট।