Bratya Basu: রাজ্যপাল মত্ত হস্তীর মতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন: ব্রাত্য বসু

Bratya Basu: ব্রাত্য বসু বললেন, 'নতুন রাজ্যপালের সঙ্গে কখনও ঔদ্ধত্য দেখাইনি। তাঁর সঙ্গে সহযোগিতামূলক কর্মকাণ্ডই করতে চেয়েছিলাম এবং এখনও চাইছি। কিন্তু তিনি বার বার ক্ষমতার স্বেচ্ছাচার ঘটাচ্ছেন।'

Bratya Basu: রাজ্যপাল মত্ত হস্তীর মতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন: ব্রাত্য বসু
সিভি আনন্দ বোস ও ব্রাত্য বসু
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 14, 2023 | 5:33 PM

কলকাতা: রাজ্য-রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) সংঘাতের একটি আবহ লেগেই ছিল। এবার রাজভবনের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে রাজ্য। রাজ্যপালকে শ্বেত হস্তী, মত্ত হস্তীর সঙ্গে তুলনা টানলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। বললেন, ‘শ্বেত হস্তীর মতো বা মত্ত হস্তীর মতো যেভাবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন, তা আমাদের কাছে বাস্তবোচিত, সমীচীন ও সঙ্গত ঠেকছে না।’  উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শনে গিয়েছেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, বারাসত বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের এ হেন কর্মকাণ্ডে মোটেই সন্তুষ্ট নয় রাজ্য, তা শিক্ষামন্ত্রীর কথা থেকেই স্পষ্ট। ব্রাত্য বসু বললেন, ‘নতুন রাজ্যপালের সঙ্গে কখনও ঔদ্ধত্য দেখাইনি। তাঁর সঙ্গে সহযোগিতামূলক কর্মকাণ্ডই করতে চেয়েছিলাম এবং এখনও চাইছি। কিন্তু তিনি বার বার ক্ষমতার স্বেচ্ছাচার ঘটাচ্ছেন।’

একই সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর কথায় উঠে এল আচার্য বিলের প্রসঙ্গও। রাজ্যপাল প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসুর বললেন, ‘তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যান বা না যান, অনুদানের ফোয়ারা ছড়ান বা না ছড়ান… রাজ্যবাসী ও উচ্চশিক্ষার সঙ্গে জড়িত মানুষদের আকাঙ্খাকে মর্যাদা দিন। রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈতিক আচার্য মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপাল (আচার্য বিলে) সই করে আমাদের কাছে ফেরত পাঠান। এই বিল আপনি অনন্তকাল ধরে হিমঘরে পাঠাতে পারেন না। ওই বিলে আপনি সই করুন, নাহলে আমাদের কাছে ফেরত পাঠান। আমরা আবার বিধানসভায় পাশ করাব। দরকার হলে দুই দফায় বিধানসভায় পাশ করিয়ে আমরা বলব আমাদের রাজ্যের আচার্য মুখ্যমন্ত্রী।’

গতকাল রাজ্যপালের কাছে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে বলে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী। অর্থাৎ, কিছুদিন আগেও রাজভবনের বাইরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে বসে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে যে সংহতির বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু এবার সরাসরি রাজ্যপালের সঙ্গে সংঘাতে রাজ্য। উল্লেখ্য, সম্প্রতি টিভি নাইন বাংলার কথাবার্তা অনুষ্ঠানে এসেও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আচার্য বিল নিয়ে প্রশ্নে মুখ খুলেছিলেন। বলেছিলেন, আচার্য বিল আপাতত হিমঘরেই আছে। ওই বিলকে খুড়োর কলের সঙ্গেও তুলনা করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। বলেছিলেন, আপাতত যা খালে আছে, সেই বিল আপাতত খালেই থাকতে দেওয়া শ্রেয়। কিন্তু এরই মধ্যে আবার আচার্য বিল নিয়ে সরব শিক্ষামন্ত্রী। দাবি তুললেন, হয় বিলে সই করা হোক, নাহলে ফেরত পাঠানো হোক রাজ্যের কাছে। অর্থাৎ, কিছুদিন আগেই যে বিল হিমঘরে পড়ে রয়েছে বলে বোঝাচ্ছিলেন তিনি, সেই বিলই আবার টেনে তুলে আনার চেষ্টায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীই যে নৈতিকভাবে আচার্য, এমন দাবিও করলেন ব্রাত্য।