মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা না নেওয়ার পক্ষে রাজ্য! চিঠি ক্ষুব্ধ শিক্ষক সংগঠনের

আসলে পরীক্ষা না নেওয়ার পক্ষেই ঝুঁকে রয়েছে সরকার। তাই শিক্ষক সমাজকে সরিয়ে রেখে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল!

মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা না নেওয়ার পক্ষে রাজ্য! চিঠি ক্ষুব্ধ শিক্ষক সংগঠনের
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 06, 2021 | 10:55 PM

কলকাতা: করোনা (Corona) আবহে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক (Madhyamik-HS) নিয়ে জনমত যাচাইয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর। এই বিশেষজ্ঞ কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে যাওয়ার আগে অভিভাবকরা কী চাইছেন তা জানতে চায়। কিন্তু সেখানে শিক্ষক সম্প্রদায়ের কোনও মতামত চাওয়া হবে না? মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হবে কি না- সেই সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত ব্যাপার থেকে শিক্ষকদের ‘সুচতুরভাবে’ দূরে রাখা হল। এমনই অভিযোগ করে শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে চিঠি পাঠাল বেঙ্গল টিচার্স অ্যান্ড এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন (BTEA)।

শিক্ষক সংগঠনের অভিযোগ, এভাবে শিক্ষকদের মতামত জানতে না চেয়ে শিক্ষা ব্যবস্থার মেরুদন্ডদেরই অপমান করা হল। চিঠিতে লেখা হয়েছে, এটা কেবল অপমানই নয়, রাজ্যের শিক্ষক সমাজের কাছে নজিরবিহীন ঘটনা। সরকারের এহেন সিদ্ধান্তের তারা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে বলে শিক্ষামন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে লেখে বিটিইএ।

সরকারের এহেন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে ‘অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টারস অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস’। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার মাইতির সই সম্বলিত এক বিবৃতিতে তারা জানায়, পশ্চিমবঙ্গে গন্ডা কয়েক শিক্ষক সংগঠন আছে। তাদের দু’জন করে প্রতিনিধিকে এই এক্সপার্ট টিমে রাখাই যেতয কিন্তু সরকার তা করেনি। তার মানে আমরা ধরে নিতে হয় যে, এ বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরামর্শ সরকারের প্রয়োজন নেই, ক্ষোভ শিক্ষক সংগঠনের।

উল্লেখ্য, বিশেষজ্ঞ কমিটির তরফে দেওয়া তিনটি ইমেল আইডি-ppssm.spo@gmail.com, wbssed@gmail.com ও commissionersscholeducation@gmail.com। এই তিনটি আইডিতেই সোমবার দুপুর ২টোর মধ্যে নিজেদের মতামত জানাতে বলা হয়েছে অভিভাবক, পড়ুয়া থেকে সাধারণ মানুষকে। এই কঠিন সময়ে পরীক্ষা নেওয়া কতটা সুরক্ষিত, কতটা সমর্থনযোগ্য সেটাই বুঝে নিতে চাইছে সরকার।

আরও পড়ুন: মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক নিয়ে আপনার মতও জানতে চায় রাজ্য, দেওয়া হল ইমেল আইডি

কিন্তু সংশ্লিষ্ট শিক্ষক সংগঠনের প্রশ্ন, প্রশ্ন, ক’জন সাধারণ জনগণ বা অভিভাবক বা ছাত্রছাত্রী ই-মেল করতে জানেন? এর পরেই শিক্ষক সংগঠনের অভিযোগ, এভাবে আসলে পরীক্ষা না নেওয়ার পক্ষেই ঝুঁকে রয়েছে সরকার। তাই শিক্ষক সমাজকে সরিয়ে রেখে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।