Post Poll Violence: মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট বিভ্রান্তিকর, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা রাজ্যের

NHRC Report on Post Poll Violence : জাতীয় মানবাধিকার কমিশন রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতি নিয়ে যে রিপোর্ট তৈরি করেছে, তাতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, অভিযুক্তদের মাত্র তিন শতাংশকেই গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ। অথচ রাজ্যের দাবি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এই রিপোর্ট একেবারেই বিভ্রান্তিকর।

Post Poll Violence: মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট বিভ্রান্তিকর, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা রাজ্যের
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 21, 2021 | 6:28 PM

নয়া দিল্লি: রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence in Bengal) নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (NHRC) যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তার ছত্রে ছত্রে ভুল। ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় আজ সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) হলফনামা দিয়েছে রাজ্য। সেই হলফনামায় এমনটাই বক্তব্য রাজ্যের। মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে বিভ্রান্তিকর তথ্যের উল্লেখ রয়েছে বলে আজ সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে রাজ্য।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতি নিয়ে যে রিপোর্ট তৈরি করেছে, তাতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, অভিযুক্তদের মাত্র তিন শতাংশকেই গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ। অথচ রাজ্যের দাবি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এই রিপোর্ট একেবারেই বিভ্রান্তিকর। ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় অভিযুক্তদের ৫৮ শতাংশকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টে জমা করা হলফনামায় জানিয়েছে রাজ্য।

এর আগে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় রাজ্যকে হলফনামা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আজ রাজ্যের তরফে সেই হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য রয়েছে ২৮ সেপ্টেম্বর।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের গঠিত কমিটির তরফে রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, মোট অভিযোগের মাত্র তিন শতাংশ ক্ষেত্রেই ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য পুলিশ। অথচ রাজ্যের বক্তব্য, গ্রেফতারির হার ৫৮ শতাংশ। ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় এখনও পর্যন্ত ১৪০০-র থেকেও বেশি মামলা রুজু হয়েছে বলে দাবি। এছাড়া আরও বলা হয়েছে, মোট অভিযুক্ত রয়েছে ৮ হাজার ১৫২। এদের মধ্যে গ্রেফতার, আত্মসমর্পণ কিংবা আদালতে জামিন পেয়েছে এমন সংখ্যা ৫ হাজার ১৫৮। পাশাপাশি ২ হাজার ৯৮৩ জনকে নোটিস পাঠিয়েছে রাজ্য।

রাজ্যের বক্তব্য, মানবাধিকার কমিশনের এই ভুলে ভরা রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। ফলে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় সিবিআই তদন্তের আদৌ কোনও প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে রাজ্য।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় আরও একটি এফআইআর দায়ের করল সিবিআই। বর্ধমানের একটি খুনের মামলায় এফআইআর দায়ের করা হল। এই নিয়ে মোট এফআইআর-এর সংখ্যা ৩৮। প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় গত শনিবারই আরও তিনটি এফআইআর দায়ের করেছে।

৩টি মামলার মধ্যে ১টি নদিয়া জেলা ও ২টি উত্তর২৪ পরগনার। ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে মোট ৮৪ জন তদন্তকারী অফিসার বা আইও-র মধ্যে ইন্সপেক্টর, ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার রয়েছেন। এছাড়া ২৫ জন কর্তা রয়েছেন এই দলে। জয়েন্ট ডিরেক্টর, ডিআইজি, এসপি পদমর্যাদার এই ২৫ জন অফিসার।

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় এবার রাজ্য পুলিশের তদন্তকারী অফিসারদের তলব করা শুরু করেছে সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, এবার ধাপে ধাপে প্রত্যেকটি কেসের তদন্তকারী রাজ্যের অফিসারদের তলব করা হবে। ভোট পরবর্তী সংশ্লিষ্ট হিংসার মামলার বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে রাজ্যের তদন্তকারী অফিসারদের কাছেই। আর এরই মধ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় সিবিআই তদন্তের প্রয়োজনীয়তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যে জমা করা হলফনামা।

আরও পড়ুন : WB Post Poll Violence Case: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় রিপোর্ট তৈরির প্রস্তুতি শুরু, বৈঠকে সিবিআই কর্তারা