KMC School: ভগ্নদশা স্কুলে ‘ছুটির ঘণ্টা’, অন্য পরিকল্পনা রয়েছে, বলছে বিজেপি-সিপিএম

School: সমস্যায় জর্জরিত এমনই ২৮টি স্কুল চিহ্নিতও করেছে পুরকর্তৃপক্ষ। ৬টি স্কুল জরুরি ভিত্তিতে অন্য পুরসভার স্কুলের সঙ্গে সংযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

KMC School: ভগ্নদশা স্কুলে 'ছুটির ঘণ্টা', অন্য পরিকল্পনা রয়েছে, বলছে বিজেপি-সিপিএম
ভগ্নদশা শহরের একাধিক স্কুলে।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 24, 2023 | 8:19 AM

কলকাতা: কোথাও পড়ুয়ার সংখ্যা ১০-এর নীচে। কোথাও ০। কলকাতা পুরএলাকায় (KMC School) এই ছবি ভাবাচ্ছে পুরনিগম কর্তৃপক্ষকেও। একটা সময় যেসব স্কুল কচিকাচাতে মুখরিত থাকত, এখন সেখানেই নিস্তব্ধতা। সমস্যায় জর্জরিত এমনই ২৮টি স্কুল চিহ্নিতও করেছে পুরকর্তৃপক্ষ। ৬টি স্কুল জরুরি ভিত্তিতে অন্য পুরসভার স্কুলের সঙ্গে সংযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশাল স্কুলবাড়ি রয়েছে, অভাব নেই ক্লাসরুমের। তবে সেখানে এখন ভগ্নদশা। বেঞ্চ, টেবিলে ধূলোর আস্তরণ। নেই পড়ুয়া। এরকমই একটি স্কুল পুরনিগমের ১ নম্বর বরোর ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নিত্যগোপাল চ্যাটার্জি রোডে রয়েছে। স্কুলটি ঘুরে দেখল টিভি নাইন বাংলা। স্কুলঘরের চাঙড় ভাঙা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ছেলে মেয়েরা স্কুলে আসবে কী? বর্ষায় জল পড়ে, অন্য সময় মাথায় চাঙড় ভেঙে বিপত্তির ভয়। তাই পড়ুয়া কম আসে। এদিকে এই পুরস্কুলগুলির বেশিরভাগই ব্যক্তি মালিকানার বাড়িতে। ফলে সংস্কার করার ক্ষেত্রেও বিস্তর সমস্যা।

পুরস্কুলগুলিতে বাংলা, ইংরাজি, হিন্দি ও উর্দু ভাষায় পঠনপাঠন হয়। ১৫ হাজার ৮৯০ জন পড়ুয়া রয়েছে স্কুলগুলিতে। ১৬০টি স্কুল ভবনে বিভিন্ন মাধ্যম মিলিয়ে ২৪২টি স্কুল। ২৮টি স্কুল উঠে গেলে সেই সংখ্যা কমে হবে ২১৪। এই পুরস্কুল যে প্রায় বন্ধের মুখে, তা বলছে পরিসংখ্যানই। মডেল স্কুল তৈরির পাইলট প্রজেক্ট থাকলেও কোনও দিশা এখনও মিলছে না। মেয়রই মেনে নিয়েছেন স্কুলে আসছে না পড়ুয়ারা।

মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “যে স্কুলগুলোয় কোনও পড়ুয়া নেই, অথচ স্কুলবাড়ি আছে, শিক্ষক রয়েছেন। স্কুলগুলিকে সারাতেও পারছি না। পড়ুয়াদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের কোনও স্কুলেই এগুলিকে মিশিয়ে দেবো।” তবে বিরোধীরা এই বিষয়টিকে হাতিয়ার করছে। বলছে, ইচ্ছা করে পুরস্কুল বন্ধ করতে চাইছে কর্তৃপক্ষ।

বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেন, “এগুলো হচ্ছে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া। একবারে তো তুলে দেওয়া যায় না। ছোট ছোট করে তুলে দেবে। তারপর এই বাড়িগুলোয় কমিউনিটি হল হবে, বিভিন্ন বিনোদন সেন্টার হবে। বিভিন্ন কিছু হবে। প্রোমোটার আসবে। ভাল ব্যবসা হবে।”

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কথায়, “আমরা বহুদিন ধরেই এটা বলছি। সরকার নিজের হাত থেকে শিক্ষা সরিয়ে প্রাইভেটের হাতে দিয়ে দিতে চাইছে। ব্যবসার কেন্দ্র হিসাবে শিক্ষাকে পরিণত করতে চাইছে।” যদিও কলকাতা পুরনিগমের মেয়র পারিষদ (শিক্ষা) সন্দীপন সাহা বলেন, “এসব কথা অমূলক। আমরা সবাই জানি বাম আমলে ইংরাজি তুলে দিয়ে পশ্চিমবাংলাকে কীভাবে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। সেখানে আজ কলকাতা পৌরসংস্থা প্রায় ৮০টার মতো ইংরাজি মিডিয়াম স্কুল চালাচ্ছে।”