Education Department: উপাচার্যদের সম্মান আছে, সরকারের তা ভাবা উচিৎ ছিল; বেতন-বিতর্কে সরব শিক্ষাবিদরা
Education Department: মোট ১১ জন উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল বোস। এরপরই সুর চড়ান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। স্পষ্ট বলেছিলেন, এই উপাচার্যদের কোনওভাবেই মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না।
কলকাতা: রাজ্যপাল নিযুক্ত অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের বেতন ও ভাতা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ শিক্ষা দফতর। বেতন ও ভাতা বন্ধের নির্দেশ দিয়ে রেজিস্ট্রারদের চিঠি দিয়েছে উচ্চ শিক্ষা দফতর। সরকারি চোখে এই নিয়োগ বেআইনি। আইনি পরামর্শের পরই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শিক্ষা দফতরের সঙ্গে কথা না বলেই এই নিয়োগ করায় চরমে পৌঁছেছিল রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। সেই উপাচার্যদেরই বেতন ও ভাতা বন্ধ করায় এই সংঘাত আরও দীর্ঘ হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে শিক্ষাবিদদের একাংশের মতে, এই উপাচার্যদের যিনিই নিয়োগ করুন না কেন, তাঁদের একটা সামাজিক সম্মান আছে। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত উপাচার্যদের সেই সম্মানে আঘাত করতে পারে, তা ভাবার প্রয়োজন আছে। কারণ, তাঁরা প্রত্যেকেই দীর্ঘদিন ধরে কোনও না কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িয়ে।
মোট ১১ জন উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল বোস। এরপরই সুর চড়ান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। স্পষ্ট বলেছিলেন, এই উপাচার্যদের কোনওভাবেই মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না। যদিও উপাচার্যরা কাজ চালাচ্ছিলেন। এরপরই সোমবার নোটিফিকেশন জারি করে রেজিস্ট্রারদের চিঠি দিয়ে জানানো হয়, এই উপাচার্যরা কোনওরকম বেতন বা ভাতা তুলতে পারবেন না। প্রয়োজনে কড়া ব্যবস্থার পথে হাঁটবে রাজ্য।
এ বিষয়ে শিক্ষাবিদ নন্দিনী মুখোপাধ্যায় বলেন, “এটা একটা অত্যন্ত অপমানজনক পরিস্থিতি। উপাচার্য হিসাবে আচার্য যাঁদের নিয়োগ করেছেন, সেখানে আইনি বিষয়টা দেখবেন সেটা অন্য প্রশ্ন। কিন্তু তাঁরা সকলেই প্রবীণ অধ্যাপক। দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়াচ্ছেন। সেখানে দাঁড়িয়ে এমন ঘটনা, অসম্মানজনক পরিস্থিতির মধ্যে ফেলা, একেবারেই অবাঞ্ছনীয়। দ্রুত রাজ্যপাল ও সরকার এর একটা সমাধানসূত্র বের করুক। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে চলতে পারে না।”