Shamik Bhattacharya: ‘২৩ হাজার কোটি টাকা ডিএ দিতে হলে কোথায় দাঁড়াবে সরকার?’, ‘ডেডলাইন ডিসেম্বর’ কেন, বোঝালেন শমীক

Shamik Bhattacharya: শুধু শিক্ষা নয়, সবক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন শমীক ভট্টাচার্য।

Shamik Bhattacharya: '২৩ হাজার কোটি টাকা ডিএ দিতে হলে কোথায় দাঁড়াবে সরকার?', 'ডেডলাইন ডিসেম্বর' কেন, বোঝালেন শমীক
শমীক ভট্টাচার্য।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 05, 2022 | 11:56 PM

কলকাতা: এই মুহূর্তে বঙ্গ রাজনীতির অলিন্দে একটাই কথা ঘুরপাক খাচ্ছে, ‘ডেডলাইন ডিসেম্বর’। বঙ্গ বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের মুখে ঘুরে ফিরেই আসছে ইংরেজি বছরের শেষ মাসের কথা। যদিও এ নিয়ে বিজেপি নেতাদের প্রশ্ন করা হলে খুব স্পষ্ট কোনও জবাব এতদিন পাওয়া যায়নি। তবে ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে টিভি নাইন বাংলার ম্যানেজিং এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাচার্যকে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya) দিলেন এই ডিসেম্বর তত্ত্বের ব্যাখ্যা।

শমীক ভট্টাচার্য প্রথমেই মন্তব্য করেন, এখনও অবধি কোনও বিজেপি নেতা দাবি করেননি ডিসেম্বরে রাজ্য সরকারের উপর কোনও কঠিন কষাঘাত আসতে চলেছে। শমীক বলেন, “আমাদের কোনও নেতা বলেননি ডিসেম্বরে সরকার পড়ে যাবে, বিজেপি বা কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারের উপর কঠিন কঠোর পদক্ষেপ করবে। এটা বুঝতে ভুল হচ্ছে। সকলে বারবার বলছেন কারণ, রাজ্য় সরকার তার নিজের কর্মচারিদের সঙ্গেও প্রতারণা করেছে। ডিএ মামলার রায় নিয়ে মানুষ অপেক্ষায়। এই মুহূর্তে FRBM-এর লিমিট সরকার ভাঙতে চলেছে। ক্যাপিটাল এক্সপেনডিচার কমে গিয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি প্রজেক্টের ম্য়াচিং গ্র্যান্ট দিতে পারছে না। বিভিন্ন পরিকল্পনা খাতে ব্যয়ের হিসাব দিতে না পারায় টাকা বন্ধ হয়ে রয়েছে।”

এই অবস্থায় সরকারের কী হাল হতে পারে তা নিয়ে বিজেপি নেতারা কেবল আশঙ্কা প্রকাশ করছেন মাত্র, এমনই মত বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সরকারের আর্থিক দুর্দশা সামনে আসছে বলে মত তাঁর। শমীক বলেন, “পুরসভা, কর্পোরেশনে পেমেন্ট নেই। হাসপাতালে শ্যাডো মানি চালু করেছিল, যারা ওষুধ দিয়েছে তারা টাকা পায়নি। জীবনদায়ী ওষুধ থেকে অনেক হাসপাতাল বঞ্চিত। রোগী কল্যাণ সমিতির নামে কলকাতার বড় বড় হাসপাতালকে বাইরে থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। প্রান্তিক মানুষ, দরিদ্র মানুষ ওষুধটা কিনতে পারছেন না, তার আগেই কোনও নেতার কাছে চাপে পড়ে ওষুধ নিয়ে চলে যাওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বারবার রিফিউজ হচ্ছে। সরকার ৫ লক্ষ শূন্যপদ ধ্বংস করে দিয়েছে। সাড়ে ৩ লক্ষের বেশি শূন্যপদ স্কুলে খালি। প্রতিটা ডিপার্টমেন্টে বিক্ষোভ হচ্ছে।”

শুধু শিক্ষা নয়, সবক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “হলদিয়ায় একটা বেসরকারি কোম্পানিতে ৩০০ জন নিয়োগ হবে বলে একটা নোটিস পড়ে। অথচ নিয়োগ সরকার করবে। কীভাবে করবে? কমিটির মাথায় বসিয়ে দিয়েছে ডিএমকে। তিনি নিয়োগ প্রক্রিয়া দেখবেন। আরেকটা দুর্নীতি। সার্বিক যে চিত্রটা সেখানে সরকারের আর কিছু নেই। ২৩ হাজার কোটি টাকা ডিএ দিতে হলে কোথায় দাঁড়াবে সরকার? হলফনামায় তো রাজ্য স্বীকারও করেছে।”