Dengue Death: ডেঙ্গি প্রাণ কাড়ল ছ’মাসের অন্তঃসত্ত্বার, ভয় ধরাচ্ছে রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি
NRS: এনআরএসে ডেঙ্গিতে মৃত বুবাই হাজরার পাড়ার বাসিন্দা রিঙ্কি দাস।
কলকাতা: ফের ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের মৃত্যু। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মত্যু হল রিঙ্কি দাস নামে ৩১ বছর বয়সী এক মহিলার। তিনি ছ’মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। হাওড়ার (Howrah) বাসিন্দা ছিলেন তিনি। মৃত্যুর শংসাপত্রে উল্লেখ রয়েছে, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট, নিউমোনিয়ার। সঙ্গে ২৪ সপ্তাহের প্রেগন্যান্সি ও ডেঙ্গি শক সিনড্রমের উল্লেখ রয়েছে। গত মাসের ১৭ তারিখ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রিঙ্কিকে। গত ৩ নভেম্বর মারা যান তিনি। যদিও সোমবার সামনে এসেছে এই মৃত্যুর খবর।
ক্রমেই উদ্বেগজনক হচ্ছে রাজ্য়ের ডেঙ্গি পরিস্থিতি। গত পাঁচ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে এবার। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসেই সব থেকে বেশি ডেঙ্গি আক্রান্ত হয় রাজ্যে। ২০১৭ সাল থেকে এই প্রথমবার ৪৪ তম সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়ায়। এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮০৫৭ জন। ২০১৭ সালের নিরিখে এটিও রেকর্ড। মশাবাহিত এই রোগে চলতি সপ্তাহে আক্রান্তের শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ ও কলকাতা। চলতি বছরে আক্রান্তের নিরিখে প্রথমেই উত্তর ২৪ পরগনা। এরপর কলকাতা, হাওড়া, মুর্শিদাবাদ।
কিছুদিন আগেই ডেঙ্গিতে মারা যান বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের সহকারি সুপার অনির্বাণ হাজরা। হাওড়ার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৪২ বছর। এনআরএসে বুবাই হাজরা নামে আরও একজন মারা যান ডেঙ্গিতে। অন্যদিকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরজি কর হাসপাতালে মারা যান এক গৃহবধূ। চলতি মাসের ৩ তারিখ জ্বর নিয়ে আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি হন উত্তর ২৪ পরগনার বাদু এলাকার বাসিন্দা কাবেরী চক্রবর্তী। হাসপাতালেই মারা যান তিনি।
রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যকে চিঠি লিখেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার উদাসীন ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। যদিও রাজ্যের দাবি, সবরকমভাবে মোকাবিলার চেষ্টা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে সতর্ক করা হচ্ছে জেলায় জেলায়। মশারি টাঙানো, বাড়ির সামনে বা বাড়িতে জল জমতে না দেওয়ার পরামর্শ করা হচ্ছে।