Madan Mitra: ৪টে পাউরুটিতে দিন কাটছে মদনের, দুর্বল লাগলে ‘টুক’ করে খাওয়ার দাওয়াই ডাক্তারের

Madan Mitra: মদন মিত্র এখন ফিটনেস নিয়ে বড্ড চিন্তায় রয়েছেন। ওজন বাড়ছে। কেন? তা বুঝে উঠতে পারছেন না নিজেও।

Madan Mitra: ৪টে পাউরুটিতে দিন কাটছে মদনের, দুর্বল লাগলে 'টুক' করে খাওয়ার দাওয়াই ডাক্তারের
মদন মিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 07, 2022 | 9:47 PM

প্রীতম দে

রাজনীতির আঙিনায় তাঁর যেমন দক্ষতা, সোশ্যাল মিডিয়াতেও সমান জনপ্রিয় তিনি। তাঁর এক একটি ফেসবুক লাইভ দেখার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন বহু মানুষ। দুঁদে রাজনীতিকের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশনও বলা যেতে পারে তাঁকে। রং-বেরঙের বাহারি সানগ্লাস চোখে যখন সত্যিই যেন বড্ড কালারফুল তিনি। কথা হচ্ছে মদন মিত্রকে নিয়ে। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। অতীতে মন্ত্রিত্বও সামলেছেন মমতার ক্যাবিনেটে। সেই মদন মিত্র এখন ফিটনেস নিয়ে বড্ড চিন্তায় রয়েছেন। ওজন বাড়ছে। কেন? তা বুঝে উঠতে পারছেন না নিজেও। সারাদিনে চারটি পাউরুটি খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। তাই ডাক পড়েছে ডায়েটেশিয়ানের। কড়া ডায়েট বেঁধে দিয়েছেন তিনি।

সামনে দুটি সিনেমা। আবার পঞ্চায়েত ভোটও আসছে। এমন অবস্থায় ফিটনেস ঠিক রাখতে হবে যে! মোটা হয়ে গেলে হয় নাকি! এই সব নিয়েই খানিক বিরক্ত মদন মিত্র। বলছেন, “আমার ইউরিক অ্যাসিডটা বরাবর ফ্যান্টাস্টিক। লাং-টাও ডাক্তাররা বলছেন পারফেক্ট আছে। ওজনটা যে কেন বাড়ছে…” মদনবাবুর শরীরের সব হাল-হকিকতের খোঁজখবর নিয়ে কড়া অনুশাসন বেঁধে দিয়েছেন ডায়েটেশিয়ান। বলেছেন, কঠোর নিয়মের মধ্যে থাকতে হবে অন্তত একটা মাস। ডায়েটেশিয়ানের কথা শুনে মদন মিত্র অবশ্য বলছেন, “নো প্রবলেম। তাই হবে।” তবে মদন বাবুর জন্য কড়াকড়ি থাকছে অনেক। খাবারদাবার তো বটেই, জলেও কড়াকড়ি। সারাদিনে আড়াই লিটার জল। তিন লিটারের বেশি নয় একেবারেই নয়।

দুপুর থেকে রাতের খাবারের মধ্যে একটি লম্বা গ্যাপ পড়ে যাচ্ছে মদন বাবুর। আর ওটাই যত নষ্টের গোড়া, বলছেন বিশেষজ্ঞ। খালি পেটের কারণেই ওজন বাড়ছে বিধায়কের। তাই নির্দেশ রয়েছে, ওই সময়টায় মুখে কিছু দিতেই হবে। তবে পেটভরা খাবার নয়। পাশাপাশি, পাঞ্জা লড়া বা জিম করার ক্ষেত্রেও আপাতত নিষেধ করা হয়েছে। জিমের প্রোটিন সাপ্লিমেন্টও বাদ পড়ছে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ, শুধু হাঁটুন আর সাঁতার কাটুন। যদিও সাঁতার কাটার অভ্যেস মদনবাবুর বরাবরই রয়েছে। ফেসবুক লাইভে মাঝেমধ্যেই সুইমিং পুলে সাঁতার কাটতে দেখা যায় তাঁকে। নাতির দুষ্টুমির ভয় থাকলেও সাঁতার অভ্যেসটা জিইয়ে রেখেছেন তিনি। আর হাঁটার ব্যাপারে অনুপ্রেরণা তো আছেনই তাঁর দলনেত্রী।

কিন্তু, এত কম খাবার… আর এত পরিশ্রম! ডায়েটেশিয়ান বলছিলেন, “একটা হাল্কা প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট ঠেকনা দিয়ে রাখবেন। বাই চান্স দুর্বল বোধ করলে টুক করে খেয়ে নেবেন।” কথাটা শুনেই গগলসের ভিতর দিয়ে খানিক মর্মভেদী দৃষ্টি নিক্ষেপ করে জাস্ট উড়িয়ে দিলেন এমএম, “আমি? দুর্বল? নৈব নৈব চ।”