Weather Update: আপাতত শুষ্কই থাকবে আবহাওয়া, তবে অস্বস্তি কাটবে ধীরে ধীরে

Weather: এই মুহূর্তে কলকাতার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে। সকালে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি তাপমাত্রা।

Weather Update: আপাতত শুষ্কই থাকবে আবহাওয়া, তবে অস্বস্তি কাটবে ধীরে ধীরে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 07, 2022 | 8:51 PM

কলকাতা: নভেম্বর থেকেই ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে আবহাওয়া (Weather Update)। দিনের বেলা গরম থাকলেও তেমন হাসফাঁস পরিস্থিতি নেই। বিকেলের পর আবহাওয়া যথেষ্ট স্বস্তিদায়ক। রাতের দিকে হালকা ঠান্ডাও অনুভূত হচ্ছে জেলাগুলিতে। ভোরের দিকেও একই পরিস্থিতি।

আগামী পাঁচদিন উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে বলেই পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। কোথাও বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। শুধুমাত্র উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

এ ছাড়া আগামী পাঁচদিন কোথাও তেমন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। এই মুহূর্তে কলকাতার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে। সকালে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি তাপমাত্রা। পরিষ্কার আকাশ থাকবে।

সাধারণত জমিয়ে শীত পড়ে ১৫ ডিসেম্বরের পর থেকে। ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এই অবস্থা থাকে। রাতের তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে তখনই শীত এসেছে বলা যায়। কলকাতার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন রাতের তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রির চেয়ে কম হওয়ার সম্ভাবনা নেই এখন।

মৌসম ভবন ইতিমধ্যেই পূর্বাভাস শুনিয়েছে, নভেম্বরে রাতের তাপমাত্রা অর্থাত্‍ সর্বনিম্ন তাপমাত্রার গড় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকবে। একই আভাস দিনের তাপমাত্রা অর্থাত্‍ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নিয়েও। দক্ষিণবঙ্গে কোনও বছরই নভেম্বরে শীতের আগমন হয় না। মাঝ ডিসেম্বরের আগে পর্যন্ত যা চলে সবই ‘ট্রেলার’। কখনও শীতের আমেজে মনে হয় হালকা চাদর দরকার। কখনও আবার গরম। ২০১২, ২০১৪, ২০১৭ সালে কলকাতাতেই ১৫ ডিগ্রির নীচে নেমে গিয়েছিল পারদ।

মৌসম ভবনের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই শুনিয়েছেন, “প্রতি বছরই উষ্ণায়নের প্রবণতা দেখছি আমরা। একটি বছর পরের বছরকে টপকে যাচ্ছে। এই যে নভেম্বরেও দেশে তাপমাত্রার গড় স্বাভাবিকের বেশি থাকার সম্ভাবনা, এটা সেই প্রবণতার অঙ্গ ধরা যেতে পারে। আরও একটা বিষয় স্পষ্ট, বিশ্ব উষ্ণায়নের ছাপ যত না সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পড়ছে, তার চেয়ে বেশি পড়ছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রায়। কারণ উষ্ণায়ন হলে বাষ্পীভবন বাড়বে। ফলে মেঘে ঢাকা থাকার প্রবণতা বাড়বে। আর আকাশে মেঘ থাকলেই রাতের তাপমাত্রা কমার সুযোগ পাবে কম, উল্টে বাড়বে।”