Gopal Dalpati: ‘তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ…’, গোপাল দলপতির মুখে চাঞ্চল্যকর নাম
Gopal Dalpati: গোপাল দলপতির দাবি, বিভাস মানিকের লোক। ফ্ল্যাটেও যাতায়াত করতেন তিনি।
কলকাতা: অসুরক্ষিত বোধ করছেন গোপাল দলপতি (Gopal Dalpati), নিজেই জানালেন সে কথা। এই মুহূর্তে দিল্লিতে রয়েছেন তিনি। বেশ কিছু আইনি কাজ সেরে ২ মার্চের পর কলকাতা আসবেন বলে জানিয়েছিলেন আগেই। এবার গোপালের দাবি, তাঁর কাছে ক্রমাগত হুমকি ফোন আসছে। অসুরক্ষিত বোধ করছেন তিনি। দ্রুতই প্রশাসনেরও দ্বারস্থ হবেন। ইতিমধ্যেই নিয়োগ ‘কেলেঙ্কারি’ মামলায় উঠে এসেছে আরও একটি নাম, বিভাস অধিকারী। গোপাল দলপতির মুখেই তাঁর নাম শোনা গিয়েছে। যদিও বিভাস দাবি করেছেন, দলপতি বা কুন্তলকে তিনি চেনেন না। উল্টে তাঁর কাছে কুন্তল-গোপালরা ‘চোর, ডাকাত’-এর সমান। ১৮ কার্তিক বোস স্ট্রিট, বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সিটি অফিস। বিভাস অধিকারীর ফ্ল্যাটের ঠিকানাও এটাই। সূত্রের খবর, এখানে মাঝেমধ্যে আসতেন বিভাস। নীলবাতি লাগানো কালো কাচ দেওয়া স্করপিও গাড়িতে আসতেন তিনি। সঙ্গে বন্দুকধারী দেহরক্ষীও থাকত।
এমনও সূত্রের খবর, তিনি এই ঠিকানায় এলে ফ্ল্যাটের বাইরে প্রচুর ছেলেমেয়ের ভিড় দেখা যেত। তাঁদের হাতে ফাইল। এমনও সূত্রের দাবি, এই বিভাগ যখন ফিরতেন, কোনও কোনওদিন ট্রাঙ্কও উঠেছে গাড়িতে। তবে প্রতিবেশীদের তিনি বলতেন, ধর্মীয় কাজে যুক্ত। যদিও ইডির স্ক্যানারে আসার পর থেকেই এই ফ্ল্যাটে তালা ঝুলছে। ফ্ল্যাটটি ইতিমধ্যেই ইডি সিলও করে দিয়েছে।
এই বিভাস অধিকারী প্রসঙ্গে গোপাল দলপতির দাবি, “মানিক ভট্টাচার্য নাকি বিভাস অধিকারীর ফ্ল্যাটে যেতেন শুনেছি। আমহার্স্ট স্ট্রিটের ফ্ল্যাটে যেতেন। নিজের গাড়ি ছেড়ে হলুদ ট্যাক্সি করে ওখানে যেতেন। প্রচুর নাকি লেনদেনের ব্যাপার হয়েছে, এরকম আমি খবর পেয়েছি।”
যদিও এ প্রসঙ্গে টিভি নাইন বাংলাকে বিভাস অধিকারী বলেন, “২০১৯ সালের ৬ জুন আমার দুর্ঘটনা হয়। তিনটে বছর, এখনও আমি অসুস্থ। দলপতিকে আমি জীবনে চিনিও না। চারটে ফটো রেখে ওনাকে দেখালে বলতে পারবেন না কোনটা বিভাস অধিকারী। কুন্তল, দলপতিদের সঙ্গে কোনও সম্পর্কও নেই। জীবনে দেখাও হয়নি। এখন চোর ডাকাতরা বাঁচার জন্য অনেকের নাম করে। সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।”
এদিকে বিভাসের এই কথা শুনে গোপালের মুখে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুই বিঘা জমির সেই জনপ্রিয় লাইন ‘তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ, আমি আজ চোর বটে’। গোপাল দলপতি বলেন, “আমাকে চোর বলছে? উনি সাধু হয়ে গিয়েছেন। ভাল কথা।”
একইসঙ্গে গোপালের দাবি, “এই ঘটনার পর আমি, আমার পরিবার হুমকির শিকার হচ্ছি। ভয়ের কারণ, আতঙ্কের কারণ। প্রশাসনকে খুব তাড়াতাড়ি জানাব। নানা অজানা লোক হুমকি দিচ্ছে। জানি না কার কোথায় আঘাত লাগছে। আমি তো কারও নাম বা নির্দিষ্ট কোনও জায়গা নিয়ে বলিনি। কার স্বার্থে লাগছে জানি না। আমি, আমার পরিবার অসুরক্ষিত মনে হচ্ছে।”