Water Supply at Jorabagan: জোড়াবাগানে জলসঙ্কট, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীকে সামলাতে ঘটনাস্থলে মন্ত্রী শশী পাঁজা
Jorabagan: মন্ত্রী এলাকায় মাইকিং করেন। মাইকে ঘোষণা করেন, কেন জলের সমস্যা হচ্ছে।
কলকাতা: খাস কলকাতায় জলের সমস্যা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জোড়াবাগানে (Jorabagan) তুমুল হইচই বাধে শনিবার সকালে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে ওঠে ঘটনাস্থলে পৌঁছন এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী শশী পাঁজা (Shashi Panja)। এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এরপরই মন্ত্রীর আশ্বাসে প্রায় ২ ঘণ্টার বেশি সময় পর অবরোধ ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকায় জলের সমস্যা হচ্ছে। জনপ্রতিনিধিদের জানিয়েও কাজ হচ্ছে না। দিনে চারবার জল দেওয়ার কথা।
২১ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, দু’বার জল দেওয়াই হয় না। বাকি দু’বার মানা হয় না নির্দিষ্ট সময়। এরপরই এদিন পথ অবরোধ করেন এলাকার লোকজন। কাউন্সিলর, তাঁর লোকজন এসে পৌঁছলেও কাজ হয়নি। এরপরই আসেন বিধায়ক শশী পাঁজা। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। মন্ত্রীর বক্তব্য, অবরোধ কোনও সমস্যার সমাধান নয়। সমস্যার কারণটা বুঝতে হবে। আর আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান আসবে।
মন্ত্রী জানান, প্রতিমা বিসর্জনের সময় প্রতিমার কাঠামো, বিচুলি, অন্যান্য সামগ্রী এসে জমে সমস্যা হচ্ছে। তার জন্যই জল সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে। মল্লিক ঘাটে যে পাম্পিং স্টেশন, সেখানে এগুলি জমে সমস্যা বলে উল্লেখ করেন বিধায়ক। একইসঙ্গে তিনি জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য কাজ চলছে। মন্ত্রীর সঙ্গে এলাকায় আসেন কলকাতা পুরনিগমের জল সরবরাহ বিভাগের আধিকারিকরাও। তাঁরাও এলাকার লোকজনের সমস্যার কথা শোনেন। মন্ত্রী আশ্বাস দেন, দুপুরের মধ্যে জল সরবরাহ করা হবে। সন্ধ্যার মধ্যে পানীয় জলও স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এরপরই মন্ত্রী এলাকায় মাইকিং করেন। মাইকে ঘোষণা করেন, কেন জলের সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত সমস্যা সমাধান করে দুপুরের মধ্যে গঙ্গা জল সরবরাহ শুরু করা হবে এবং সন্ধ্যায় এলাকায় মিষ্টি জল চালু হবে বলেও আশ্বস্ত করেন। তবে বিধায়কের কাছে আশ্বাস পেলেও এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, জল এলে তারপর আশ্বাস বাস্তবের রূপ পেল কি না তা বলা যাবে।
এ প্রসঙ্গে বিকেলে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এখনও কালীপুজোর বিসর্জন চলছে। কিছু পাম্পিং স্টেশনে জলের লাইনের মুখে বিভিন্ন জিনিস আটকেছে। এর ফলে জল সরবরাহ ব্যহত হয়েছে। জোয়ার ভাটার সময় এর জন্য বন্ধ রাখতে হয়। না হলে খড় বিচুলি ইত্যাদি ঢুকে যাবে। এখন পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে গেছে।”