Naushad Siddiqui: আরও এক মামলায় এবার জামিনের আর্জি খারিজ নওশাদ সিদ্দিকির, ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ
Baruipur: গত ২১ জানুয়ারি ভাঙড়ের হাতিশালার ঘটনায় কেএলসি থানায় একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়।
কলকাতা: নওশাদে তপ্ত রাজনীতি। এবার পুলিশ হেফাজতে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি (Naushad Siddiqui)। শুক্রবার নওশাদের জামিনের আর্জি খারিজ করে ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল বারুইপুর আদালত। কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স বা কেএলসি থানার পুলিশের আর্জির ভিত্তিতে এদিন আদালতে তোলা হয় নওশাদকে। তারা বৃহস্পতিবার নওশাদের প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছিল। এদিন আদালত জানিয়ে দিল, ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতে থাকবেন তিনি। এদিকে দলীয় বিধায়কের জামিন মঞ্জুর না হওয়ায় আইএসএফ এদিন দুপুরে আদালত সংলগ্ন মাঠে বিক্ষোভ দেখায়। এ নিয়ে তপ্ত এলাকা। আদালত চত্বরে উপস্থিত এক আইএসএফের রাজ্য কমিটির নেতা মহম্মদ সাজান লস্কর বলেন, “পুলিশ চক্রান্ত করে নওশাদ সিদ্দিকিকে ফাঁসিয়েছে। এই জামিন যে হবে না তা জানতাম। যাদের জেলে থাকার কথা তারা বাইরে আর যারা গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলে তারা জেলের ভিতরে। তবে আমাদের আইনের উপর ভরসা আছে। আর আমরাও রাস্তায় থাকব। আমাদের নেতা জেলে আছেন, তবে হাজার হাজার কর্মী রাস্তায় আছেন।”
ইতিমধ্যেই ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতে রয়েছেন নওশাদ। ধর্মতলায় পুলিশের সঙ্গে আইএসএফের ঝামেলার ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিলেন নওশাদ-সহ ১৮ আইএসএফ কর্মী-সমর্থক। ব্যাঙ্কশাল আদালত প্রথমে তাঁকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। সেই মেয়াদ ফুরনোর পর আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয় নওশাদদের। ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরইমধ্যে এবার কেএলসি থানার পুলিশ সক্রিয়।
গত ২১ জানুয়ারি ভাঙড়ের হাতিশালার ঘটনায় কেএলসি থানায় একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়। নওশাদের আইনজীবীর বক্তব্য, একদিকে কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানা ও নিউ মার্কেট থানায় অভিযোগ হয়েছে। যার ভিত্তিতে নওশাদকে গ্রেফতার করা হয় সেদিন। অন্যদিকে হাতিশালায় গোলমালের ঘটনায়ও নওশাদের নাম রয়েছে। যার ভিত্তিতে এদিন ৬ দিনের পুলিশ হেফাজত হল।
নওশাদ প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “রাজনীতি করতে গেলে মাঠে নেমে রাজনীতি করতে হবে। ধর্মের অবলম্বন দিয়ে রাজনীতি করাটা ঠিক না। তাহলে বিজেপির সঙ্গে আর তফাত কোথায় রইল? আপনি ধর্মীয় নেতা হলে ধর্ম নিয়ে থাকুন। রাজনীতি করতে হলে রাজনীতির ময়দানে কাজ করতে হবে। বামেদের সঙ্গে জোট করে গোটা বাংলায় যে একটা আসন পেয়েছে, তাদের নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ভাববে?”
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, “নওশাদ সিদ্দিকির গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। তার দায় যাদের, তাদের গ্রেফতার না করে তৃণমূল ভয় পেয়ে এসব করছে।” অন্যদিকে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “নওশাদ সিদ্দিকির রাজনীতির সঙ্গে আমাদের কোনও যোগাযোগ নেই। অবস্থানগতভাবে আমরা বিরোধী। তবে একজন জনপ্রতিনিধিকে যেভাবে পুলিশ গ্রেফতার করল, বিধায়কের গাড়ি ভাঙচুর, অপরাধীদের ছেড়ে দেওয়া সুস্থ গণতন্ত্রে হয় না। এর তীব্র প্রতিবাদ করি।”