Arpita Mukherjee: অর্পিতার হাতে মাত্র ৫৩ টাকা, অথচ ফ্ল্যাটে উদ্ধার কোটি কোটি!
ED: ইচ্ছে এন্টারটেইনমেন্টের অফিস সাজানোর জন্য লকডাউনের সময় প্রচুর খরচ করা হয়েছে। লকডাউনের সময় বিয়েবাড়ি ভাড়া দিয়ে প্রচুর রোজগারের হিসাব দেখানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
সবথেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য হল, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সংস্থা ইচ্ছে এন্টারটেইনমেন্টের ব্যালান্স শিট বলছে, ২০২০-২০২১ অর্থবর্ষে দুই ডিরেক্টর অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ও কল্যাণ ধরের হাতে রয়েছে ১০৭ টাকা। অর্থাৎ এই টাকা দুই ডিরেক্টরের মধ্যে ভাগ হলে, অর্পিতার হাতে থাকে ৫৩ টাকা ৫০ পয়সা। অথচ এই অর্পিতারই দু’টি ঠিকানা থেকে প্রায় ৫১ কোটি নগদ টাকা উদ্ধার করেছে ইডি।
একইসঙ্গে দেখা যাচ্ছে, এই সংস্থার ‘ফিক্সড অ্যাসেট’ অর্থাৎ সংস্থার হাতে সম্পত্তি রয়েছে ১২ লক্ষ ২৮ হাজার ৪৪৭ টাকা। কিন্তু ব্যালান্স শিটের অন্য পাতায় দেখা যাচ্ছে, সেই সম্পত্তি ভাড়া দিয়ে অর্থাৎ বিয়েবাড়ি ও স্টুডিয়ো হিসাবে ভাড়া দিয়ে সংস্থার আয় হচ্ছে ৪৩ লক্ষ ৭৫ হাজার ৩২২ টাকা। এখানেই খটকা লাগছে ইডির অফিসারদের। নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ইডির আধিকারিকদের মাথায়।
আইন অনুযায়ী বলা রয়েছে, কোনও সংস্থা যখন তাদের ব্যালান্স শিট দাখিল করবে, তাদের ল্যান্ড অ্যান্ড প্রপার্টি অর্থাৎ কোথায় কত সম্পত্তি রয়েছে, তার মধ্যে কী সম্পদ রয়েছে, তার আলাদা হিসাব দিতে হবে। কিন্তু ব্যালান্স শিটে একইসঙ্গে দু’টি হিসাব তুলে ধরা হয়েছে। ইডির অনুমান, এখানে তথ্য লুকোনোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় এই ব্যালান্স শিটে উঠে এসেছে। ইচ্ছে এন্টারটেইনমেন্টের অফিস সাজানোর জন্য লকডাউনের সময় প্রচুর খরচ করা হয়েছে। লকডাউনের সময় বিয়েবাড়ি ভাড়া দিয়ে প্রচুর রোজগারের হিসাব দেখানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই আয় প্রায় কোটি টাকা বলেও ব্যালান্স শিটে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। সংস্থার হাতে এই মুহূর্তে ১ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা রয়েছে। সংস্থা সাজাতেই ৩৩ লক্ষ ৫৩ হাজার টাকা খরচ বলে দেখানো হয়েছে। এখানে খটকা লাগছে ইডি অফিসারদের।