Firhad Hakim: ‘পোর্ট এলাকা বলেই ব্যবসায়ীকে চেনার ঠেকা নাকি আমার?’, বিরোধীদের মন্তব্যে ফুঁসে উঠলেন ফিরহাদ

Firhad Hakim: শনিবারের সকালে শহরে শুরু হয় ইডির অভিযান। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ৬টি দল অভিযানে বেরোয় এদিন।

Firhad Hakim: 'পোর্ট এলাকা বলেই ব্যবসায়ীকে চেনার ঠেকা নাকি আমার?', বিরোধীদের মন্তব্যে ফুঁসে উঠলেন ফিরহাদ
মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 10, 2022 | 9:25 PM

কলকাতা: গার্ডেনরিচকাণ্ডে ক্রমেই তরজা বাড়ছে। কলকাতা বন্দর এলাকার গার্ডেনরিচে এক পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ফিরহাদ হাকিম ইডি, সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় পাল্টা সোচ্চার হন সুজন চক্রবর্তী। সংবাদমাধ্যমে সুজন বলেন, “গার্ডেনরিচের নিসার খান পরিবহণ ব্যবসায়ী। তাঁর কাছ থেকে টাকা পেলে প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কপালে ভাঁজ কেন?” এরপরই ফিরহাদ হাকিমকে বলতে শোনা যায়, প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী তিনি একা নন। এর আগেও অনেকে ছিলেন। তাই এ ধরনের মন্তব্যের কোনও ভিত্তি নেই।

ফিরহাদ হাকিম এদিন বলেন, “ওখানে পোর্ট এলাকায় তো বহু ব্যবসায়ী আছে। তাদের সকলকে চেনা আমার দায়িত্ব নাকি? আমি কি ঠেকা নিয়ে রেখেছি। প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী তো, তার আগেও একজন ছিলেন। তারও ঘনিষ্ঠ? এগুলো পাগলের মতো কথাবার্তা। পরিবহণ মন্ত্রী সব জানবেন নাকি? আমার আগে যে ছিল তাঁরও কি ঘনিষ্ঠ নাকি?” এর আগে ফিরহাদ এই ইডি রেড প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “আইটি রেইড, ইডি রেইড করে একটা বার্তা দিতে চাইছে, বাংলায় ব্যবসা কোরো না। ব্যবসা করতে গেলে আমাদের রাজ্যে চলে এসো। বাংলায় থাকলে ব্যবসায়ীদের আমরা এভাবে আক্রমণ করব। বাংলার অর্থনীতিকে ভেঙে দেওয়ার একটা পরিকল্পনা বলে আমার মনে হয়।”

শনিবারের সকালে শহরে শুরু হয় ইডির অভিযান। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ৬টি দল অভিযানে বেরোয় এদিন। পার্ক স্ট্রিটের ম্যাকলয়েড স্ট্রিট, একবালপুরে ১৪ নম্বর বিন্দুবাসিনী রোড, গার্ডেনরিচে একাধারে চলতে থাকে ইডির রেইড। বেলা গড়াতেই বাকিদের থেকে প্রচারের আলো কেড়ে নেয় কলকাতা বন্দর এলাকার গার্ডেনরিচ। সেখানে আমির খান নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে নগদ টাকা উদ্ধার শুরু হয়। প্রথম খবর আসে ৬ কোটি নগদ মিলেছে। মুহূর্তে তা বেড়ে ৭ কোটি হয়। পরে যত সময় এগিয়েছে তা ১৫ কোটি ছাড়িয়ে ১৭ কোটি হয়েছে। ইডি আধিকারিকরা ৮টি টাকা গোনার মেশিন নিয়ে টাকা গুনতে কার্যত হিমশিম খাচ্ছে, সেই ভিডিয়োও সামনে এসেছে বলে অভিযোগ।

এই ঘটনা ঘিরে তোলপাড় রাজ্য। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত শেষ পাওয়া খবরে ১৮ কোটির বেশি নগদ উদ্ধার হয়েছে নিসার আহমেদ খানের বাড়ি থেকে। এই নিসারের ছেলে আমির খান। তাঁর বিরুদ্ধেই অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, পরিবহণের ব্যবসায় যুক্ত আমির। একইসঙ্গে তিনি একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপ ব্যবহার করে প্রতারণাচক্র চালাতেন বলেও অভিযোগ।