Medical College Kolkata: মেডিক্যালে কার্যত অচলাবস্থা, হাইকোর্টে গেলেন রোগীর আত্মীয়

Kolkata: ২২ ডিসেম্বর ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়েছিল। হঠাৎই সোমবার তা স্থগিত ঘোষণা করা হয়। যা ঘিরে শুরু হয় ছাত্র বিক্ষোভ।

Medical College Kolkata: মেডিক্যালে কার্যত অচলাবস্থা, হাইকোর্টে গেলেন রোগীর আত্মীয়
ক্ষোভে ফুঁসছেন রোগীর আত্মীয়রা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 06, 2022 | 11:31 AM

কলকাতা: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে (Medical College Kolkata) সোমবার থেকে ঘেরাও প্রিন্সিপাল, এমএসভিপি, নার্সিং সুপাররা। মঙ্গলবার সকালে সেই আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়ে। এদিকে মেডিক্যালের মতো হাসপাতালে আন্দোলনের জেরে বিপাকে পড়া শুরু সাধারণ মানুষের। এদিকে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এবার আদালতে মামলা দায়ের। রোগীদের নিরাপত্তার দাবিতে, রোগীদের পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হোক দাবি তুলে এক রোগীর আত্মীয় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বুধবার। ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, এম‌এসভিপি-সহ বিভাগীয় প্রধানদের ঘেরাও করে রাখার অভিযোগ ওঠে সোমবার থেকে। ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিতে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের অফিস ঘেরাও করেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। তাঁদের বক্তব্য, ২২ ডিসেম্বর ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়েছিল। হঠাৎই সোমবার তা স্থগিত ঘোষণা করা হয়। আন্দোলনকারীদের দাবি, বাইরের রাজনৈতিক দলের প্রভাব খাটাতে দিনের পর দিন ছাত্র সংসদের নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছে। ভোট না হলে এই ঘেরাও আন্দোলন না তোলার হুঁশিয়ারিও দেন পড়ুয়ারা।

রাতভর ঘেরাওয়ের জেরে বেলা বাড়তেই কার্যত অচলাবস্থা তৈরি হয় কলকাতা মেডিক্যালে। রোগী ও রোগীর আত্মীয়দের চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হয় বেলা বাড়তেই। উত্তেজিত রোগীর পরিজনেরা হাসপাতালের গেটের তালা পর্যন্ত ভেঙে ফেলেন। ইট দিয়ে সমানে তালায় আঘাত করতে থাকেন। প্রথমে বাইরের গেটের তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন তাঁরা, তারপর প্রিন্সিপালের ঘরের সামনে যে গেট ছিল তার তালাও ভেঙে ফেলেন। রোগীর আত্মীয়দের একটাই অভিযোগ, পরিষেবা পাচ্ছেন না তাঁদের লোকজন।

রোগীর পরিবারের স্পষ্ট বক্তব্য, যে কেউ যে কোনও ইস্যুতে আন্দোলন করতেই পারেন। কিন্তু কোনওভাবেই তার জন্য রোগীরা বঞ্চিত হতে পারেন না। চিকিৎসার মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা কোনওভাবে অচল করে দেওয়া যেতে পারে না। হাসপাতালের পরিষেবা কেন বিঘ্নিত হবে প্রশ্ন তাঁদের। ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে, একাধিক অস্ত্রোপচার স্থগিত রাখা হয়েছে। পরিষেবা না পেয়ে ক্যানসার রোগীকেও ফিরতে হয়েছে বলে অভিযোগ। সকাল থেকে হাসপাতালের সেন্ট্রাল ল্যাব বন্ধের অভিযোগও উঠেছে। যদিও হাসপাতাল প্রিন্সিপাল ফোনে টিভি নাইন বাংলাকে জানান, কোনওভাবেই ল্যাব বন্ধ রাখা যাবে না। রোগীর পরিষেবা কোনওভাবেই ব্যহত রাখা যাবে না।