SP Sinha Case: একজনের ভূমিকা বুঝতে এত সময়? আদালতের প্রশ্নের মুখে CBI
CBI: সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, যা তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে তাতে এই পর্যায়ে জামিন পেলে তদন্ত নষ্ট হবে। বৃহত্তর ষড়যন্ত্র এটা।
কলকাতা: এসএসসি (SSC) উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন আহ্বায়ক শান্তিপ্রসাদ সিনহার (Shantiprasad Sinha) জামিনের বিরোধিতায় সিবিআই। যা নিয়ে এদিন আলিপুর সেশন কোর্টের বিচারকের প্রশ্নের মুখে পড়তে হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। নিয়োগ সংক্রান্ত এক মামলার শুনানি চলাকালীন এদিন এসপি সিনহা বিচারপতির কাছে জামিনের আবেদন করে জানান, ‘এতদিন জেলে থাকার পর তদন্তকারী অফিসার মনে করছেন আমাকে হেফাজতে নিতে হবে। কেন? এতদিন অসহযোগিতার কথা বলেননি, এখন বলছেন নাকি সহযোগিতা করিনি।’ পাল্টা সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, যা তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে তাতে এই পর্যায়ে জামিন পেলে তদন্ত নষ্ট হবে। বৃহত্তর ষড়যন্ত্র এটা। জামিন পেলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন।’ সিবিআইয়ের বক্তব্য, এসপি সিনহা ভুয়ো সুপারিশ পত্র দিয়ে জাল নিয়োগপত্র দিয়েছেন।
বিচারক রানা দাম এরপরই প্রশ্ন করেন, ‘অন্য কেসে তো এসপি সিনহা জেলে আছেন। জামিন পেলে সমস্যা কোথায়?’ তাঁর প্রশ্ন, ‘তিনমাস আগে চার্জশিট পেশ হয়েছে। অথচ এই ব্যক্তির ভূমিকা বুঝতে এতদিন লেগে গেল? সবই তো ভিতরে ভিতরে সম্পর্কযুক্ত। বলবেন না আপনারা জানতেন না।’
একইসঙ্গে এদিন বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা বলছেন তদন্তে প্রভাব পড়বে। কী প্রভাব পড়বে যদি জামিন দিই? অন্য কেসে তো জেলে আছেন। এই কেসে কেন দরকার? নতুন কিছুই তো বলার মতো নেই। একই কথা বলছেন। ডিসেম্বরে চার্জশিট দিয়েছেন আর মার্চ মাসে হেফাজতে চাইছেন?’
যদিও এ নিয়ে সিবিআইয়ের আইনজীবীর বক্তব্য, ‘চার্জশিটের পর নতুন নথি সামনে এসেছে।’ বিচারক বলেন, ‘অপরাধ আলাদা হতে পারে। উনি তো জেলে থাকবেন।’ সিবিআই জানায়, অন্য কেসে এর প্রভাব পড়বে। যা শুনে বিচারকের প্রশ্ন, কীভাবে এই প্রভাব পড়বে? যদিও দুই পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে এসপি সিনহাকে ৩০ মার্চ অবধি জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।