Kunal Ghosh on Jakir Hossain: তৃণমূল বিধায়কের কারখানায় কোটি কোটি টাকা, অন্য সন্দেহ কুণালের…

Murshidabad: ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জাকির হোসেন জানিয়েছেন, তাঁর কারখানায় ৭ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের টাকা নগদেই দিতে হয়।

Kunal Ghosh on Jakir Hossain: তৃণমূল বিধায়কের কারখানায় কোটি কোটি টাকা, অন্য সন্দেহ কুণালের...
কুণাল ঘোষ ও জাকির হোসেন।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 12, 2023 | 8:31 PM

কলকাতা: আয়করের হানায় মুর্শিদাবাদের বিড়ি কারখানা থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৮ কোটি টাকা নগদ। সঙ্গে আরও তিনটি বিড়ি কারখানা, রাইস মিল মিলিয়ে আরও ২ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই টাকা উদ্ধারের ঘটনায় জড়িয়েছে তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের (Jakir Hossain) নাম। অভিযোগ, তাঁর বিড়ি কারখানা ‘শিব বিড়ি’ থেকেই ৮ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। যা ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জলঘোলা। যদিও এ নিয়ে ইতিমধ্যেই জাকির হোসেন জানিয়েছেন, “সবই কৃষক ও শ্রমিকের টাকা”। এবার জাকিরের হয়ে মুখ খুলল তাঁর দল। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, এই রেইডের পিছনে পূর্ব পরিকল্পনা রয়েছে। না হলে তদন্তের সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে সমস্ত ছবি, তথ্য সংবাদমাধ্যমে চলে আসছে? এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, “রাজ্যের বিধায়ক জাকির হুসেনের বিভিন্ন জায়গায় আয়কর দফতর হানা দিয়েছে, বেশ কিছু টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে খবর প্রচারিত হচ্ছে। আমরা খুব স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আইন আইনের পথে চলুক। কিন্তু এর পিছনে পরিকল্পিত চক্রান্ত রয়েছে। তৃণমূল মনে করিয়ে দিতে চায়, জাকির হোসেন শুধুমাত্র তৃণমূলের বিধায়ক নন, তিনি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীও।”

এরই রেশ টেনে কুণাল ঘোষ বলেন, “বিড়ি শিল্প থেকে শুরু করে বিভিন্ন কৃষিভিত্তিক শিল্পে তাঁর ব্যবসা রয়েছে। একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী বাড়িতে নগদ রাখতে পারবেন না, এটা কে বলল? কবে ঠিক হল? যেখানে ওনাদের ব্যবসায় বিপুল সংখ্যক দৈনিক মজুরির শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের নগদে পেমেন্ট দিতে হয়। যেভাবে ব্যাপারটা প্রচার হচ্ছে তা ঠিক নয়। যাঁর কাছে এই রেইড হয়েছে, তাঁকে নথিপত্র, তথ্য়প্রমাণ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হল না, তার আগেই সংশ্লিষ্ট এজেন্সি সংবাদমাধ্যমের ব্যবহার করে যেভাবে টাকা, খবর, ছবি ছড়ালেন তা জনমানসে বিভ্রান্তি তৈরি করার জন্য আমরা মনে করি। যদি রেইড হওয়ার ছিল, টাকা অবৈধ মনে হয় তার আইনি ব্যবস্থা হবে। তার বদলে এটা সঙ্গে সঙ্গে সংবাদমাধ্যমে চলে যাচ্ছে, এটা প্রমাণ করে এটা সুপরিকল্পিতভাবে ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করার জন্য পূর্ব পরিকল্পিত।”

ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জাকির হোসেন জানিয়েছেন, তাঁর কারখানায় ৭ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের টাকা নগদেই দিতে হয়। একইসঙ্গে জাকির হোসেনের রাইস মিল থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা প্রসঙ্গেও তিনি বলেন, কৃষিক্ষেত্রে নগদ টাকাই ব্যবহার করা হয়। সবই ধান কেনা আর কৃষকদের টাকা। তবে প্রশ্ন উঠেছে সে টাকা কারখানায় কেন রাখা হয়? জাকির অবশ্য জানিয়েছেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে এই সিদ্ধান্ত।