West Bengal Lockdown: লকডাউনে শ্লথ টিকাকরণের গতি, চোখ রাঙাচ্ছে দৈনিক মৃত্যু
চলছে টিকাকরণ (COVID Vaccination)। তারই মধ্যে করোনা নিয়ন্ত্রণে কঠোর হয়েছে বিধি নিষেধ (West Bengal Lockdown)। চলছে না গণপরিবহণ। ধাক্কা খেল টিকাকরণ প্রক্রিয়াও।
কলকাতা: চলছে টিকাকরণ (COVID Vaccination)। তারই মধ্যে করোনা নিয়ন্ত্রণে কঠোর হয়েছে বিধি নিষেধ (West Bengal Lockdown)। চলছে না গণপরিবহণ। ধাক্কা খেল টিকাকরণ প্রক্রিয়াও। উত্তর থেকে দক্ষিণ শহরের একাধিক হাসপাতালের ছবি ধরা পড়ল TV9 বাংলার ক্যামেরায়।
শহরে কার্যত ফাঁকা রাস্তাঘাট, চলছে না গাড়ি। রবিবার সকাল থেকেই রাজ্য কার্যত লকডাউন মুডে। স্বাভাবিক জীবনের ছন্দে যে প্রভাব পড়বে, সেটা তো জানা কথা। তবে সমস্যা তৈরি হয়েছে ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রেও। আর সেটাই চিন্তার বিষয়। শহর কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী একাধিক সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের ছবি সেই কথাই বলছে। একেই ভ্যাকসিনের স্টক নেই। চাহিদা ও জোগানের মতো পার্থক্য বিস্তর।
সল্টলেক অঞ্চলের একাধিক হাসপাতালে দেখা গেল সেই ছবি। অনেক কষ্টে যাঁরা হাসপাতালে পৌঁছলেন, তাঁরাও পেলেন না ভ্যাকসিন। কারণ ভ্যাকসিনের ভাঁড়ার শূন্য। কোথাও আবার ঝুলছে তালা। হাসপাতালে আসা এক মহিলা বললেন, “কত কষ্ট করে হাসপাতালে পৌঁছেছি বলতে পারব না। তাও ভ্যাকসিন পেলাম না। বলল, সোমবারে আসুন…” প্রায় একই বক্তব্য ষাটোর্ধ্ব আরও এক ব্যক্তির। তাঁর কথায়, “ওঁরা বললেন, ফোন করে আসবেন.. কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বারবার বাড়ির বাইরে বের হই কী করে বলুন তো?”
আরও পড়ুন: সাইক্লোন ‘তাউটে’র দাপটে আসছে পরপর মৃত্যুর খবর, বিপর্যস্ত বহু এলাকা
কলকাতার এমআর বাঙুর ও এসএসকেএমের ভ্যাক্সিনেশন সেন্টারগুলিতে শুধুই শূন্যতা। সমস্যা আরও একটা জায়গাতে। বাড়ি থেকে হাসপাতাল পৌঁছবেন কীভাবে? প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া করার সামর্থ্য সকলের নেই। লকডাউনের শ্লথ টিকাকরণের গতি। রবিবার সন্ধ্যায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪৭ জন সংক্রমিতের মৃত্যু হয়েছে। সে সঙ্গে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ফের ১৯ হাজারের গণ্ডি পার করেছে।