CM Mamata Banerjee: তৃণমূলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির নতুন চেয়ারম্যান সুব্রত বক্সী, সরানো হল পার্থকে

CM Mamata Banerjee: জানা গিয়েছে, নাম না করে মহুয়া মৈত্রকেও ভর্ৎসনা করেন মমতা। সম্প্রতি ডিএমকের এক অনুষ্ঠানে তৃণমূল সাংসদের যোগদান ভালভাবে নেয়নি দল।

CM Mamata Banerjee: তৃণমূলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির নতুন চেয়ারম্যান সুব্রত বক্সী, সরানো হল পার্থকে
তৃণমূলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান বদল। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 06, 2022 | 1:27 AM

কলকাতা: তৃণমূলের দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান পদে বদল। সূত্রের খবর, পার্থ চট্টাপাধ্যায়কে সরানো হল এই পদ থেকে। নতুন চেয়ারম্যান হলেন সুব্রত বক্সী। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের রাজ্য কমিটির বৈঠক ছিল। বৈঠকে ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কখন শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির মিটিং হয়, তা কাগজ পরে জানতে পারি। আমাকে জানিয়ে এখন থেকে বৈঠক ডাকতে হবে।” সূত্রের দাবি, এরপরই ঘোষণা করা হয় এবার থেকে এই কমিটির চেয়ারম্যান পদ সামলাবেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক সুব্রত বক্সী।

প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিনে বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে তৃণমূলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি। সৌজন্যে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। এই কমিটির চেয়ারম্যানের ভূমিকা নিয়ে সরাসরিই প্রশ্ন শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। মদনের বক্তব্য ছিল, “সুব্রত বক্সী দলটা ৩৬৫ দিন করে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় দায়িত্ব দিলে সেটা দেখেন। পার্থ দলের সকলকে ঠিকমতো চেনেন কি না সেটাও বলা যাবে না।” এই নিয়ে বেশ চর্চাও হয়। এদিনের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির যে বৈঠক হয়, তা পুরোপুরি তাঁকে অন্ধকারে রেখেই হয়। তা যে তিনি ভালভাবে নেননি তাও স্পষ্ট করে দেন।

অন্যদিকে সূত্রের দাবি, এদিনের বৈঠকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্য প্রবল ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় উত্তরবঙ্গের তিন নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, উদয়ন গুহ ও পার্থপ্রতিম রায়কে। তমলুকের নেতা তুষার মণ্ডলকেও এদিন দলনেত্রীর ধমকের মুখে পড়তে হয় বলে সূত্রের দাবি। কনট্রাক্টরদের সঙ্গে তাঁর যোগসাজশের অভিযোগ রয়েছে। জানা গিয়েছে, নাম না করে মহুয়া মৈত্রকেও ভর্ৎসনা করেন মমতা। সম্প্রতি ডিএমকের এক অনুষ্ঠানে তৃণমূল সাংসদের যোগদান ভালভাবে নেয়নি দল। সূত্রের খবর, দলনেত্রী এদিন বৈঠকে বলেন, দলের অনুমতি ছাড়া কেউ কেন অন্য দলের অনুষ্ঠানে যাবে? আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামীকেও তোপের মুখে পড়তে হয়। সূত্রের খবর, নেত্রী জানতে চান, কাঠ পাচারকারী ব্লক নেতার সঙ্গে কেন এত ঘনিষ্ঠতা?