Suvendu Adhikari: ভাঙড়ে যেতে ‘আপত্তি নেই’ শুভেন্দুর, কিন্তু ‘দরজা খোলার’ ভার ছাড়লেন নওশাদদের উপর
Suvendu on Bhangar: পঞ্চায়েত পর্বে সবথেকে বেশি যে জায়গাগুলিতে অশান্তি ছড়িয়েছিল, তার মধ্যে অন্যতম ভাঙড়। কেন শুভেন্দু ভাঙড়ে যাচ্ছেন না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এবার তার জবাব দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা।
কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার সময় থেকে রাজ্যজুড়ে হিংসা ও অশান্তির অভিযোগে সরব হয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। আক্রান্তদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। কিন্তু ভাঙড়ে এখনও যাননি শুভেন্দু। অথচ, পঞ্চায়েত পর্বে সবথেকে বেশি যে জায়গাগুলিতে অশান্তি ছড়িয়েছিল, তার মধ্যে অন্যতম ভাঙড়। কেন শুভেন্দু ভাঙড়ে যাচ্ছেন না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এবার তার জবাব দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দুর বক্তব্য, ‘ভাঙড়ে যাওয়ার পরিস্থিতি থাকলে নিশ্চিতভাবে যাব। যাওয়ার জন্য দরজা খুলতে হয়।’ তাঁর কথায়, যেসব জায়গায় তিনি যাচ্ছেন, সেসব জায়গায় তাঁর জন্য দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির কর্মী-সমর্থক-ভোটাররা তাঁকে ডেকে পাঠাচ্ছেন। জায়গায় জায়গায় ঘুরে মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন। কিন্তু, ভাঙড়ের ক্ষেত্রে, সেখানকার মানুষজনের মধ্যে বিজেপি ‘সাম্প্রদায়িক’ বলে ভুল বুঝিয়ে রাখা হয়েছে বলে দাবি বিরোধী দলনেতার। বললেন,’আমি ব্যক্তি শুভেন্দু অধিকারী তো তা নই। আমি বিজেপির একজন বিধায়ক।’ নওশাদরাও যাতে বিজেপির মতো ‘নো ভোট টু মমতা’-র পক্ষে জোরাল সওয়াল তোলেন, সেই পরামর্শও দেন শুভেন্দু অধিকারী।
বিরোধী দলনেতার প্রশ্ন, আইএসএফের চোখে সাম্প্রদায়িক বিজেপির বিধায়কের জন্য দরজা কি খুলবেন? বুঝিয়ে দিলেন, দরজা খুললে ভাঙড়ে যেতে তাঁর কোনও ‘আপত্তি নেই’। বললেন, ‘আমি অকুতোভয়, আমি রাজি, কিন্তু দরজা আপনাদের খুলতে হবে।’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘চিত্ত যেথা ভয় শূন্য…’-র দুই লাইন আওড়াতেও দেখা যায় শুভেন্দুকে। জানিয়ে দিলেন, দরজা খোলা হলে, তিনি সেখানে গিয়ে বিজেপির জন্য ভোট চাইবেন না। একইসঙ্গে বগটুইয়ের ঘটনাও মনে করিয়ে দিলেন শুভেন্দু। সেখানে যে নওশাদ বা মমতাদের আগে শুভেন্দু পৌঁছে গিয়েছিলেন ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে, সেটাও বুঝিয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দুর এই বক্তব্যের পর নওশাদের পাল্টা বক্তব্য, বিরোধী দলনেতা হিসেবে রাজ্যের যেখানে অন্যায়-অত্যাচার হবে, সেখানেই তিনি যাবেন বলে আশা করি। বিরোধী দলনেতা হিসেবে তিনি ভাঙড়ে গেলে, ভাঙড়বাসী নিশ্চয়ই দরজা খুলে দেবে, জানালেন নওশাদ। বললেন, ‘নিশ্চয়ই মানুষ দরজা খুলে দেবে। কেন খুলবে না? তিনি তো কোনও দলের প্রতিনিধি হয়ে যাবেন না। বিরোধী দলনেতা হয়ে যাবেন। এতে অসুবিধা কী আছে! তিনি পৌঁছলে মানুষ নিশ্চয়ই তাঁকে গ্রহণ করবে।’ তাছাড়া আইএসএফ যে জন্মলগ্ন থেকেই তৃণমূলের বিরোধিতা করে এসেছে, সে কথাও মনে করিয়ে দেন নওশাদ। আইএসএফ বিধায়কের বক্তব্য, ‘শুভেন্দু অধিকারী পঞ্চায়েত ভোটে এসে বলছেন, নো ভোট টু মমতা। আমরা ২০২১ সালের ভোট থেকেই মমতাকে ভোট না দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’