Primary Recruitment: প্রাথমিকের ৪২৮ জনের নথিই নেই, তথ্য চাইল ডিপিএসসি
Primary Recruitment: এই চাকরিপ্রার্থীরা জানান, ২০০৯ সালের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে তাঁদের পরীক্ষা হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরের বছর অর্থাৎ ২০১০ সালের ৪ জুলাই তাঁদের পরীক্ষা হয়েছিল।
কলকাতা: গত কয়েকদিনে যতগুলি নিয়োগ-জটিলতার মামলা সামনে এসেছে, তার মধ্যে রয়েছে ২০০৯ সালের প্রাথমিক নিয়োগের বিষয়টিও। মূলত দক্ষিণ ২৪ পরগনার পরীক্ষার্থীদের নিয়োগ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। আদালত তাতে হস্তক্ষেপ করে নিয়োগের নির্দেশও দিয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে নতুন জটিলতা তৈরি হয়েছে। ২০০৯ সালের প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ দিতে তৎপর শিক্ষা দফতর। কিন্তু সেই চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে ৪২৮ জনের উপযুক্ত তথ্য নেই বলে ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলের (DPSC) বা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে খবর। এবার তাঁদের তথ্য় তলব করল সংসদ। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সেই তথ্য প্রমাণ জমা করতে হবে ডিপিএসসি অফিসে। বিকাশ ভবন থেকে শূন্যপদে অনুমোদন এলে তারপর নিয়োগ করা হবে।
জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান অজিত নায়েক বলেন, “প্যানেল আমরা আগেই প্রকাশ করেছি। যেখানে ১৫০৬ জনের নাম আছে। তবে সেই ১৫০৬ জনের মধ্যে ৪২৮ জন এমন প্রার্থী রয়েছেন, যাঁদের যথাযথ তথ্যসংক্রান্ত নথি সংসদে জমা পড়েনি। এই তথ্য়গুলো আমরা তাড়াতাড়ি জমা নিয়ে ডিপার্টমেন্টকে পাঠাতে চাই। নিয়োগের ক্ষেত্রে যেহেতু এত শূন্যপদ আমাদের জেলায় নেই, তাই বিকাশ ভবন অর্থাৎ ডিপার্টমেন্ট যেদিন বিষয়টা নিয়ে জানাবে তারপরই আমরা অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করব।”
এই চাকরিপ্রার্থীরা জানান, ২০০৯ সালের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে তাঁদের পরীক্ষা হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরের বছর অর্থাৎ ২০১০ সালের ৪ জুলাই তাঁদের পরীক্ষা হয়েছিল। যদিও সেই পরীক্ষা বাতিল হয়ে যায়। পরে আদালতের নির্দেশে ২০১৪ সালের মার্চ মাসে আবারও পরীক্ষা হয়। সে বছরই সেপ্টেম্বর মাসে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াও সম্পূর্ণ হয় বলে দাবি ওই চাকরিপ্রার্থীদের।
কিন্তু এই ইন্টারভিউয়ের পরই কয়েকজন চাকরি প্রার্থী জটিলতা তৈরি করেন বলে অভিযোগ দেবাশিস বিশ্বাস নামে এক চাকরি প্রার্থীর। কয়েকজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাকরি প্রার্থী সেদিন দাবি তোলেন, তাঁদের আগে নিয়োগ দিতে হবে। তাঁরা দাবি করেন, প্রশিক্ষণের কারণে অগ্রাধিকার দিতে হবে তাঁদের। যদিও দেবাশিসদের দাবি, যে সময় তাঁরা পরীক্ষা দিয়েছিলেন তখন টেট, ডিএলএড বলে কিছু ছিল না। তাই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা কীভাবে অগ্রাধিকার পেতে পারেন? এ নিয়ে মামলা হয় গত এপ্রিলে। ১০ নভেম্বর আদালত রায় দেয় দেবাশিসদের পক্ষেই।