CPIM: শনিবার থেকে ‘শূন্য’ সিপিএমের রাজ্য সম্মেলন, কোন পথে হাঁটবেন সেলিমরা?
CPIM: সিপিএমের রাজ্য সম্মেলনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোটারদের মধ্যে তৃণমূল এবং বিজেপির মেরুকরণ তৈরি হয়েছে। ভোটারদের এই মেরুকরণের ফলে সিপিএম ক্রমশ জনসমর্থন হারাচ্ছে।

কলকাতা: জেলা সম্মেলন শেষ হয়েছে। একাধিক জেলায় নেওয়া হয়েছে ‘ব্যতিক্রমী’ সিদ্ধান্ত। আবার শত চেষ্টা সত্ত্বেও ভোটাভুটি এড়ানো যায়নি উত্তর ২৪ পরগনায়। এবার সিপিএমের রাজ্য সম্মেলন। শনিবার থেকে সিপিআইএম-র ২৭ তম রাজ্য সম্মেলন শুরু হবে হুগলির ডানকুনিতে। যা চলবে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
সিপিএমের রাজ্য সম্মেলনে কী কী গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে?
সিপিএমের রাজ্য সম্মেলনের প্রতিবেদনে স্বীকার করা হয়েছে, পার্টিতে এখন সকলেই নেতা হতে চাইছেন। কিন্তু শাখা স্তরে কাজ করার মানসিকতা নেই। এরিয়া কিংবা জোনাল কমিটি থেকে জেলা কমিটির নেতা হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। প্রয়োজনে গোষ্ঠী লড়াই করে জেলা কমিটিতে স্থান পাওয়ার চেষ্টা চলছে। গোলমাল হচ্ছে। কিন্তু শাখা কমিটির সম্পাদক হতে তীব্র অনীহা।
সিপিএমের রাজ্য সম্মেলনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নেতা হওয়ার জন্য দলের অভ্যন্তরে গোষ্ঠী কোন্দল, উপদলীয় কাজকর্ম পুরোপুরি বাড়ছে। তা বন্ধ করা যায়নি। সারা বছর ধরেই দলের মধ্যে এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে।
একইসঙ্গে মেনে নেওয়া হয়েছে, বিগত দু’বছরে পার্টি সদস্যের বিন্যাস খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। বহু সদস্য যেমন দল ছেড়েছেন, অনেকে আবার দলে এসেছেন। কিন্তু আশঙ্কার দিক হল, এজি সদস্যপদ পাওয়ার পরে অনেকেই আর সিএম অথবা পিএম (পার্টি মেম্বার) হতে চাইছেন না। অর্থাৎ এক, দু’বছর দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। এই প্রবণতা বাড়ছে বলেও রিপোর্টে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও বলা হয়েছে, ভোটারদের মধ্যে তৃণমূল এবং বিজেপির মেরুকরণ তৈরি হয়েছে। ভোটারদের এই মেরুকরণের ফলে সিপিএম ক্রমশ জনসমর্থন হারাচ্ছে।
আইএসএফের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্মেলনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “আইএসএফের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে একটি নির্বাচনে আমরা লড়াই করেছি। আইএসএফ নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ দল মনে করলেও পার্টি সদস্যদের একটা বড় অংশ তাদের ধর্মনিরপেক্ষ বলে মনে করে না।”
সিপিএমের রাজ্য সম্মেলনের প্রতিবেদনে স্বীকার করা হয়েছে, “নতুন সময়ের উপযোগী দল তৈরি করা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে দলের মধ্যে গাফিলতি আছে।” আর এক বছর পর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে একটি আসনও পায়নি তারা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সম্মেলনের আলোচনায় কী কী উঠে আসে, সেটাই দেখার।





