Panchayat Election 2023: ‘আদালতের নির্দেশ মেনে চলব’, জানিয়ে দিলেন নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা
State Election Commission: রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা জানিয়ে দিলেন, আদালত যা নির্দেশ দিয়েছে, সেই মতোই চলবে কমিশন। বললেন, 'আমরা তো আগেই বলেছিলাম, আদালত যা নির্দেশ দেবে, আমরা তা কমপ্লাই করব।'
কলকাতা: হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে কমিশনকে দ্রুত স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপর থেকেই গুঞ্জন ছড়িয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission) পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে। বিধানসভার বিরোধী দলনেতাও জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর এসবের মধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা জানিয়ে দিলেন, আদালত যা নির্দেশ দিয়েছে, সেই মতোই চলবে কমিশন। বললেন, ‘আমরা তো আগেই বলেছিলাম, আদালত যা নির্দেশ দেবে, আমরা তা কমপ্লাই করব।’
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তি ও গোলমালের অভিযোগ উঠে এসেছে। দিন যত গড়িয়েছে, তত পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়েছে। মনোনয়নে বিরোধীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ থেকে শুরু করে, লাঠি নিয়ে ঘোরাঘুরি, বোমাবাজি, গুলি চালানো… কিছুই বাদ যায়নি। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর অভিযোগও এসেছে। আর এই পরিস্থিতির মধ্যে আজ সকলের নজর ছিল হাইকোর্টের দিকে। শেষ পর্যন্ত এদিন সন্ধেয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ পঞ্চায়েত মামলার রায়ে জানিয়ে দেয়, সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, স্পর্শকাতর জেলাগুলি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের। কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য ছিল, তারা স্পর্শকাতর জেলা বলে কিছু মূল্যায়ন করেনি। সেই নিয়ে আবার হাইকোর্টে গিয়েছিল কমিশন। তারপরই আজ কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এই নির্দেশ হাইকোর্টের।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা যেদিন পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেন, সেদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে স্পষ্টভাবে কিছু মন্তব্য করেননি তিনি। উল্টে রাজ্য পুলিশের উপরেই ভরসা রাখার কথা শোনা গিয়েছিল তাঁর মুখে। আর তারপর থেকেই বিরোধী দলগুলি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানোর দাবিতে সরব হয়েছিল।