Manik Bhattacharya Arrest: কী কী অভিযোগে মানিককে গ্রেফতার করা হল? জানুন…
TET Scam: সোমবার রাতভর জেরা করা হয় পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে।
কলকাতা: রাতভর ম্যারাথন জেরার পর মঙ্গলবার সকালে ইডির হাতে গ্রেফতার হলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। এদিনই তাঁকে আদালতে তোলা হবে। ইডি স্পেশাল কোর্ট বন্ধ থাকায় ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হবে মানিককে। তার আগে সকাল ১০টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্স থেকে মানিকের শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে হাসপাতালে। শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এদিন মানিককে গ্রেফতার করা হয় বলে ইডি সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, তদন্ত অসহযোগিতা করার পাশাপাশি বয়ানে অসঙ্গতির অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তাঁকে গ্রেফতার করেছে।
মূলত মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ—
- টেটে সাদা খাতা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন অযোগ্যরা। সব জেনেই তাঁদের চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য বলে অভিযোগ
- বিএড কলেজ থেকে প্রত্যেকটা অ্যাডমিশনে বেনিয়ম করে টাকা নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বলে অভিযোগ
- ২০১৪ টেটে কোনও নিয়ম না মেনেই অযোগ্যদের চাকরি দিয়েছে প্রাইমারি বোর্ড। মানিক ভট্টাচার্যের অঙ্গুলিহেলনেই সব হয়েছে বলে অভিযোগ
- নম্বর বিন্যাস দিয়ে সঠিক পদ্ধতিতে টেটের মেরিট লিস্ট বেরোয়নি। ইচ্ছে করেই কারচুপি করা হয়েছে বলে অভিযোগ
- প্রাইমারি বোর্ড প্রশ্ন ভুল থাকার পরেও সকলের নম্বর বৃদ্ধি করেনি। নেপোটিজম, ফেভারিটিজম হয়েছে বলে অভিযোগ
ইডি মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করেছে। পাশাপাশি এই একই মামলার তদন্তে সিবিআইয়ের স্ক্যানারেও নদিয়ার পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক। তবে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তে যে বিরোধ নেই, তার উদাহরণ দেখা গিয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে। ইডি তাঁকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে সিবিআই তাঁকে হেফাজতে নেয় আইনি পথে হেঁটে। সেইভাবে মানিক ভট্টাচার্যকেও সিবিআই তাদের হেফাজতে ভবিষ্যতে নিতে পারে।