Transport Department: বিকল্প জ্বালানির দিশা দেখাতে বাস মালিকদের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসছে রাজ্য

Bus Service in West Bengal: সূত্রের খবর, সিএনজি নিয়ে এই বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করতে পারে সরকার।

Transport Department: বিকল্প জ্বালানির দিশা দেখাতে বাস মালিকদের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসছে রাজ্য
বাস মালিকদের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসছে রাজ্য (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 13, 2021 | 8:47 PM

কলকাতা: রাজ্য সরকারের সঙ্গে বাস মালিক সংগঠনগুলি আরও একবার বৈঠকে বসতে চলেছে। সমস্ত বাস মালিক সংগঠনগুলিকে সঙ্গে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে চলেছেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী। আগামী ১৭ নভেম্বর এই বৈঠক হবে। বিকল্প জ্বালানি হিসেবে সিএনজি কীভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে, সেই নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। এছাড়া ভাড়া সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। সূত্রের খবর, সিএনজি নিয়ে এই বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করতে পারে সরকার।

দীপাবলির আগের রাতে দেশবাসীর জন্য সুখবর দিয়েছে কেন্দ্র। পেট্রোপণ্যের উপর কেন্দ্রীয় কর অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে। তাতে কিছু হলেও দাম কমেছে। এরপর বিভিন্ন রাজ্য নিজেদের শুল্কে ছাড় দিলেও এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। নিকট ভবিষ্যতেও এমন কোনও ভাল খবরের ইঙ্গিত নেই। আর এরই মধ্যে ১৭ নভেম্বর ফের একবার বৈঠকে বসতে চলেছে রাজ্য সরকার।

এর আগে ৩ নভেম্বর রাজ্যের বাস মালিক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল পরিবহন দফতর। বাসে গাদাগাদি ভিড় এবং মর্জি মাফিক ভাড়া নেওয়া নিয়ে যাত্রী অসন্তোষ ওই বৈঠকে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছিল। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের রোজগারে কোপ পড়েছে। এই অবস্থায় কোনওভাবেই বাস ভাড়া বাড়ানো যাবে না বলে বাস মালিক সংগঠনদের জানিয়েছিলেন পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

জানা গিয়েছে ওই বৈঠকে বাস মালিকদের রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনে বিকল্প জ্বালানি বা ব্যাটারি চালিত বাস কত তাড়াতাড়ি এবং কীভাবে রাস্তায় নামানো যায় তা নিয়ে আলোচনা চালাবে রাজ্য। আগামী ১৭ নভেম্বর ফের বৈঠক হবে সব পক্ষকে নিয়ে। তবে বাসভাড়া বাড়ানোর কোনওভাবেই পক্ষপাতী নয় রাজ্য। এখনই ভাড়া বাড়ালে মানুষের ওপর আরও চাপ বাড়বে বলেই মনে করছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

ইতিমধ্যেই পুনে থেকে এক বিশেষজ্ঞকে আনা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। তিনি পুরনো ডিজেল বাসকে ব্যাটারি বাসে রুপান্তরিত করানোর ব্যাপারে সহায়তা করছেন বলে জানা গিয়েছে। রাজ্য আশাবাদী যে, এর ফলে সরকারি ও বেসরকারি বাসের সুরাহা হবে। সিএনজি কোম্পানির সঙ্গেও আলোচনা হচ্ছে। আগামী বছর থেকে দুরবস্থা কেটে পাকাপোক্ত সমাধান পাওয়া যাবে বলে জানাচ্ছেন পরিবহণ মন্ত্রী।

ফিরহাদ হাকিমে সেদিনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন, “অলটারনেটিভ ফুয়েল, এই রুটটা আমাকে বের করতেই হবে। সেটার জন্য আজকেও আমি বাস মালিকদের হাত ধরে বললাম, বাবু, তোমাদের অসুবিধা হচ্ছে, কিন্তু একটু সহ্য করো। কারণ, এখনও কোভিড পরিস্থিতি, নোটবন্দীর জন্য সাধারণ মানুষের হাতে টাকা নেই। নাভিশ্বাস উঠছে তাঁদের। তাই ভাড়া বাড়ানোর কথা ভেবো না। আমি অন্যভাবে তোমাদের পুষিয়ে দেব। ওরা আমার সঙ্গে সহমত হয়েছে।”

আরও পড়ুন: Mahua Moitra: লক্ষ্য বিধানসভা নির্বাচন, গোয়া জয়ে তৃণমূলের বাজি মহুয়া মৈত্র