Panchayat Elections 2023: কাশীপুর থানায় নওশাদের বিরুদ্ধে FIR, নিরাপত্তা চাইতে বিচারপতি মান্থার বেঞ্চে ভাঙড়ের বিধায়ক
Panchayat Elections 2023: পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপর্বে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, তার রেশ এখনও জিইয়ে রয়েছে। নিরাপত্তা চেয়ে কেন্দ্রের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার শুনানি।
কলকাতা: ভাঙড়ে মনোনয়নপর্বে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় একদিকে যেমন নওশাদ সিদ্দিকির নামে কাশীপুর থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। অন্যদিকে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফের একমাত্র বিধায়ককে নিরাপত্তা দিতে চলেছে কেন্দ্র। নওশাদও জানিয়েছেন, এই নিরাপত্তা নিতে তাঁর কোনও অসুবিধা নেই। কারণ, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা চেয়ে তিনিই চিঠি লিখেছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। কেন্দ্র তাঁকে জেড ক্যাটাগরির সুরক্ষা দিতে চলেছে বলে খবর। যদিও নওশাদ জানান, এ বিষয়ে তাঁর কাছে এখনও কোনও নির্দেশ আসেনি। তাই সোমবারই নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টে গিয়েছেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক। তাঁর আইনজীবী, ফিরদৌস শামিমের বক্তব্য, নওশাদের কোনও নিরাপত্তা নেই। অথচ তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র ভাঙড় এখন যুদ্ধক্ষেত্র। বিধায়কের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
নওশাদ সিদ্দিকির বক্তব্য, তিনি রাজ্য সরকারের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন, কিন্তু তা তাঁকে দেওয়া হয়নি। এরপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন তিনি। নওশাদ বলছেন, “সেই নিরাপত্তাও এখনও পাইনি। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সেটা জানিয়ে হাইকোর্টে গিয়েছি। মঙ্গলবার শুনানি। আশা করছি আদালত সদর্থক ভূমিকাই নেবেন।” তবে কেন্দ্র যে তাঁকে ইতিমধ্যেই জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা তিনি সংবাদমাধ্যমে জেনেছেন বলেও জানান। তবে তাঁর কাছে এখনও সরকারিভাবে কোনও খবর আসেনি।
অন্যদিকে তৃণমূল কর্মী রাজু নস্করের মৃত্যুতে কাশীপুর থানায় নওশাদের নামে যে এফআইআর দায়ের হয়েছে, সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যদি আমি কিছু ভুল করে থাকি আমার নামে এফআইআর হবে, আমি যদি কাউকে উস্কানিও দিয়ে থাকি, আমার বিরুদ্ধে যা আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সেটা প্রশাসন নেবে।”
নওশাদের এই নিরাপত্তা নিয়ে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “কেন্দ্রের সরকার বা দল কেউ বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। প্রত্যেক মানুষের কাছে তার জীবন মূল্যবান। নওশাদ সিদ্দিকি আমাদের বিরোধী অবস্থানে রাজনীতি করলেও নির্বাচিত হওয়ার পর ধারাবাহিকভাবে আক্রমণের শিকার। পুলিশের সামনে, থানা চত্বরের মধ্যে তিনি আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে তিনি আক্রমণের শিকার। স্বাভাবিকভাবে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা যদি নওশাদ সিদ্দিকি না হয়ে অন্য কোনও বিরোধী রাজনৈতিক দলেরও এই অবস্থান হয়, তাহলেও সরকার তাঁর পাশে দাঁড়াবে বলে বিশ্বাস করি।”