বাড়িতে করোনা আক্রান্ত রোগী, কোন হাসপাতালে বেড আছে, জানবেন কীভাবে?
যদি আপনি কোন হাসপাতালে কত বেড আছে তা জানতে চান, তাহলে সরকারি ওয়েবসাইট https://www.wbhealth.gov.in/pages/corona/bed_availability থেকে আপনি তথ্য পেতে পারেন।
কলকাতা: কোনও কোনও রাজ্যে নিভছে না চিতা। আবার কোথাও নেই অক্সিজেনের জোগান। করোনা (COVID) আবহে একাধিক রাজ্যের শোচনীয় অবস্থা। চারদিকে বেডের আকাল। পশ্চিমবঙ্গেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৭১৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের। স্রেফ রাজধানী কলকাতাতেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৯৯৮ জন। এমতাবস্থায় যদি আপনি করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েন, বা আপনার পরিচিত কেউ করোনা আক্রান্ত হন, তাহলে কোন হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। কারণ একাধিক হাসপাতালেই তো বেড নেই।
প্রথমত চিকিৎসকের পরামর্শ বা সরকারি হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে সাহায্য পেতে পারেন। তবে যদি আপনি কোন হাসপাতালে কত বেড আছে তা জানতে চান, তাহলে সরকারি ওয়েবসাইট https://www.wbhealth.gov.in/pages/corona/bed_availability থেকে আপনি তথ্য পেতে পারেন। সেখানে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের শয্যা সম্পর্কে আপনি তথ্য পাবেন।
১৫ তারিখের তথ্য অনুযায়ী কলকাতার কোন বেসরকারি হাসপাতালে বেডের কী অবস্থা তা জেনে নিন…
অল এশিয়া মেডিক্যাল ইনস্টিটিউশনে বেডের সংখ্যা ০, আমরি ঢাকুরিয়া, আমরি মুকুন্দপুর ও আমরি সল্টলেকে কোনও বেড নেই। অ্যাপোলো হাসপাতালেও কোনও বেড নেই। বেলভিউ ক্লিনিকে কোনও বেড নেই। সল্টলেকের ক্যালকাটা হার্ট ক্লিনিকে কোনও বেড নেই। ক্যালকাটা হার্ট ক্লিনিকের সল্টলেকে ফেসিলিটিতে মাত্র ১০ টি বেড রয়েছে। চার্নক হাসপাতালে কোনও বেড নেই। টাটা মেডিক্যাল সেন্টারেও কোনও বেড নেই। কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালগুলির মধ্যে কুড়ির বেশি বেড রয়েছে বি-পি পোদ্দার হাসপাতাল (২৪), দিসান (২৫), জিডি হাসপাতাল (৩৮), কস্তুরি দাস মেমোরিয়াল (৩৫), মারওয়াড়ি রিলিফ সোসাইটি (২৯), নবজীবন হাসপাতাল (৩৫), নেহরু মেমোরিয়াল (৩৭), নর্থ সিটি (২৫), পিয়ারলেস (৯২) ও জেনিথ হাসপাতালে (২৩)।
১৬ তারিখের তথ্য অনুযায়ী সরকারি হাসপাতালগুলির মধ্যে বেশি সংখ্যায় বেড রয়েছে এমআর বাঙ্গুর(২৫০), সিএনসিআই (১৯২), বেলেঘাটা আইডি (১৬১) ও কেস রায় টিবি হাসপাতালে (১৩০)।
আরও পড়ুন: করোনার করাল গ্রাসে বাংলা, দৈনিক আক্রান্ত ৮ হাজারের কাছাকাছি, মৃত্যু ৩৪ জনের