Indian Railway: পুজোতে বাঙালির ভরসা রেল, ভিড়ের নিরিখে কোন ট্রেন কাকে টেক্কা দিল?
Indian Railway: মুম্বই মেল, হাওড়া-অমৃতসর মেল যেগুলির অকুপেন্সি প্রায় ১৫০ শতাংশ। অর্থাৎ ট্রেনের উপর মানুষের যে অগাধ ভরসা সেটা পুজোর এই ৭ দিনের পরিসংখ্যান থেকেই প্রমাণিত। অমৃতসরগামী অকালতখ্ত এক্সপ্রেসের অকুপেন্সি প্রায় ১৫০ শতাংশ।
কলকাতা: পুজোয় বাঙালি বেড়াতে যাবে না তা কী হয়? দার্জিলিং থেকে পুরী, দিঘা, পুজোয় ভ্রমণপিপাসু বাঙালির ভিড়ে ঠাসা থাকা প্রায় সব জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রই। এদিকে প্রতি বছরই পুজোয় দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিটের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। অনেকদিন আগে থেকে প্ল্যান করেও টিকিট পান না অনেকেই। কারণ একটা, মাত্রাতিরিক্ত টিকিটের চাহিদা। লম্বা হতে থাকে ওয়েটিং লিস্ট। এবারও দেখা গেল সেই ছবি। ভ্রমণের জন্য সবথেকে বেশি সংখ্যক মানুষ বেছে নিলেন রেলকেই। এমনকী সংশ্লিষ্ট কিছু ট্রেনের টিকিটের চাহিদা দেখে চোখ কপালে তুলছেন অনেকেই। ওয়াকিবহাল মহলের বড় অংশের মতে, যেহেতু ট্রেনের টিকিট বিমানের থেকে অনেকটাই কম হয়, সে কারণে দূরপাল্লায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে বড় সংখ্যক মানুষ ট্রেনকেই বেছে নেন পরিবহণের মাধ্যম হিসাবে।
তথ্য বলছে, এবার কলকাতা-আগরতলা গরিব রথ এক্সপ্রেসে অকুপেন্সি পসিশন প্রায় ১৮৫ শতাংশ। অর্থাৎ মানুষ একটি বার্থে একাধিকবার ভ্রমণ করেছেন। তেমনই কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে এই রেট প্রায় ১৮০ শতাংশ। আবার জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেস যেটি কলকাতা থেকে ছাড়ে সেটিরও অকুপেন্সি প্রায় ১৬৫% এই পুজোর ৭ দিনে। কামরূপ এক্সপ্রেস যেটি আবার ডিব্রুগড় যায় সেটির চাহিদা তো বরাবরই উপরের দিকে থাকে। পুজোয় এই ট্রেনের অকুপেন্সিও প্রায় ১৬৪ শতাংশ। অর্থাৎ একটি বার্থ একাধিকবার ব্যবহার করা হয়েছে।
তেমনই মুম্বই মেল, হাওড়া-অমৃতসর মেল যেগুলির অকুপেন্সি প্রায় ১৫০ শতাংশ। অর্থাৎ ট্রেনের উপর মানুষের যে অগাধ ভরসা সেটা পুজোর এই ৭ দিনের পরিসংখ্যান থেকেই প্রমাণিত। অমৃতসরগামী অকালতখ্ত এক্সপ্রেসের অকুপেন্সি প্রায় ১৫০ শতাংশ। হাওড়া-বিকানির সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস অকুপেন্সি প্রায় ১৪৩ শতাংশ। এছাড়া পূর্বা এক্সপ্রেস, উপাসনা এক্সপ্রেস এগুলির অকুপেন্সি ১৪০ শতাংশ। অন্য়দিকে মালদহ-দিঘা এক্সপ্রেস অকুপেন্সি ১৩০ শতাংশ। অর্থাৎ এই ট্রেনটিতেও প্রচুর মানুষ ঘুরতে গিয়েছেন। রাধিকাপুরগামী কুলিক এক্সপ্রেস ১২১ শতাংশ, তিস্তা – তোর্সা এক্সপ্রেসে ১২৫ শতাংশ। অন্যদিকে মালদা – আনন্দ বিহার যে ট্রেনটির মাধ্যমে প্রচুর মানুষ মালদা থেকে দিল্লি যান সেটির অকুপেন্সি ১২৪ শতাংশ, কলকাতা-শিলঘাট কাজিরাঙা এক্সপ্রেসেও ১২২ শতাংশ অকুপেন্সি, রাজধানী এক্সপ্রেসে ১১৪ শতাংশ অকুপেন্সি। পুজোর চারদিনে দার্জিলিং মেলে অকুপেন্সি ১১৪ শতাংশ।
এই তালিকায় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হাওড়া – নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এই ট্রেনটিতেও অকুপেন্সি ১০৫ শতাংশ। শিয়ালদহ-নিউ দিল্লি দুরন্ত এক্সপ্রেসেও অকুপেন্সি প্রায় ১১০ শতাংশ। পুজোয় বাঙালি পুরী যাবে না এটাও তো হতে পারে না! কলকাতা-পুরী স্পেশ্যাল ট্রেনটির অকুপেন্সিও ১০০ শতাংশের উপরে।