Threat Letter: চিঠির সঙ্গে পাঠান গর্ভনিরোধকও, যাদবপুরে হুমকি চিঠি পাঠানো ‘রানা রায়’ আসলে কে?
Threat Letter: একটু খোঁজ খবর করার পর পাওয়া গেল তাঁর আবাসনের খোঁজ। তবে গিয়ে দেখা গেল তালা বন্ধ অবস্থায় রয়েছে সেই ফ্ল্যাট।
কলকাতা: তিনি রান রায়। চিঠিতে অন্তত তাঁর পরিচয় তেমনই। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় কেন সৌরভ চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে? এই প্রশ্ন তুলে হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। যাদবপুরের রেজিস্ট্রারকে হুমকি দিয়ে কড়া ভাষায় লেখা হয়েছে, সৌরভ চৌধুরীর কোনও ক্ষতি হলে রেজিস্ট্রারের কী পরিনতি হবে। সেই রানা রায়ের পরিচয় খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে এল একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এটাই প্রথম নয়, বহু মানুষকে এভাবে হুমকি চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। তাঁর নামে অভিযোগও দায়ের হয়েছে অনেক। কে এই রহস্যময় ব্যক্তি?
টালা থানায় ওনার নাম প্রচুর অভিযোগ আছে। ছোট ছোট ঘটনাকে বড় করতে ওস্তাদ লোক। রিকশা করে এলাকা ঘুরে বেরায় ও খুব ঝগড়া করে যখন তখন।বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া ওই চিঠির ঠিকানা দেখে ওই ব্যক্তির খোঁজ করতে গেলে পুলিশ জানতে পারে বর্তমানে তিনি রয়েছেন ভুবনেশ্বরে। টালা থানায় তাঁর নামে রয়েছে প্রচুর অভিযোগ। ভুয়ো চিঠি দেওয়ার অভিযোগ আগেও উঠেছে ব্যক্তির নামে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কোচবিহারের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক রানা রায়। তবে আপাতত বেশ কয়েক মাস হল মেডিক্যাল ছুটিতে আছেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর ওই ব্যক্তিকে পরে নোটিস দিয়ে ডাকা হতে পারে।
একটু খোঁজ খবর করার পর পাওয়া গেল তাঁর আবাসনের খোঁজ। তবে গিয়ে দেখা গেল তালা বন্ধ অবস্থায় রয়েছে সেই ফ্ল্যাট। ওই আবাসনের আবাসিকরা অভিযোগ করছেন, শুধু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রারকেই নয়, আবাসনের একাধিক বাসিন্দাকেও পাঠানো হয় এই চিঠি। তাতে লেখা থাকে অশ্রাব্য ও অশালীন ভাষায। প্রেরক সেই রানা রায়।
টালা থানা থেকে শুরু করে লালবাজারেও ওই ব্যক্তির নামে অভিযোগ জানিয়েছেন আবাসনের বাসিন্দারা। তবে এলাকায় এই ব্যক্তি নিজেকে অধ্যাপকের পাশাপাশি প্রভাবশালী হিসেবেও পরিচয় দিতেন। যে সমস্ত চিঠি তিনি পাঠাতেন, তার সঙ্গে কখনও কখনও পাঠিয়ে দিতেন গর্ভনিরোধক জিনিসপত্রও। এমনটাই অভিযোগ আবাসিকদের। যে চিঠি পাঠানো হতো সেই চিঠির ঠিকানা বিভিন্ন জায়গার, কখনও সল্টলেক তো কখনও অরুণাচল প্রদেশ।