AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mamata on CPIM: ‘সিপিএমটাকে ক্ষমা করে দিলি কেন?’, বামেদের আক্রমণে ‘সুব্রতদার কথা’ মনে পড়ল মমতার

Mamata on CPIM: Mamata on CPIM: সিপিএমের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানাতে শানাতেই মমতা চলে যান একেবারে স্মৃতির পাতায়। তাঁর মুখে এদিন শোনা যায় প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নাম।

Mamata on CPIM: ‘সিপিএমটাকে ক্ষমা করে দিলি কেন?’, বামেদের আক্রমণে 'সুব্রতদার কথা' মনে পড়ল মমতার
ফের বামেদের আক্রমণ মমতার
| Edited By: | Updated on: May 27, 2023 | 5:41 PM
Share

শালবনি: কিছুদিন আগেই বামেদের দুর্নীতির ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিপিএমের (CPIM) চিরকুটে চাকরি নিয়েও বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায় চলছিল জোর চর্চা। বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর সরকারি চাকরি নিয়েও শুরু হয়ে গিয়েছিল জোর শোরগোল। এরইমধ্যে এবার শালবনির সভা থেকে ফের বামেদের একহাত নিলেন মমতা (CM Mamata Banerjee)। তোপ দাগলেন বিজেপিকেও (BJP)। সিপিএমকে নিশানা করেই বললেন, “কারও যদি নম্বর ৯০ থাকে তাকে টেনেটুনে এক দুই নম্বর দিয়ে ৯২ করা যেতে পারে। কিন্তু, কেউ যদি শূন্য থাকে তাকে ৯২ করা যায় না।”

সালটা তখন ২০০৯-১০। তার আগে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামে ঝরেছে রক্ত। ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটাতে বদ্ধপরিকর মমতা। তৃণমূলের কর্মীদের মুখে মুখে ঘুরছে একটাই স্লোগান। বদলা নয়, বদল চাই। যা প্রথম শোনা গিয়েছিল মমতারই মুখে। এদিন ফের একবার মমতার মুখে শোনা গেল সেই পুরোনা স্লোগানই। একযোগে সিপিএম-বিজেপিকে নিশানা করে বললেন, “আমরা গুজরাটের ভাজপা সরকার নই, আমরা উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকার নই, আমরা কেরলের সিপিএম সরকার নই। আমরা তৃণমূল সরকার। আমরা মানুষের উপর বদলা নিই না। একটাই কথা বলেছিলাম বদলা নয়, বদল চাই। তাই এত অত্যাচারের পরও আমাদের কর্মীদের রবীন্দ্রসঙ্গীত আর নজরুলগীতি গাইতে বলেছিলাম।”

এখানেই শেষ নয়। সিপিএমের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানাতে শানাতেই মমতা চলে যান একেবারে স্মৃতির পাতায়। তাঁর মুখে এদিন শোনা যায় প্রয়াত তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নাম। সিপিএমের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ এতটুকু না কমিয়ে মমতা বলেন, “অনেক সময় সিপিএম নেতা-কর্মীরা বলেন তাহলে আমাকে গ্রেফতার করল না কেন? আরে করিনি তো তোদের দয়া করে। গ্রেফতার করলে তো সবকটাকে করতে হত। সুব্রতদা আজকে বেঁচে নেই। উনি মাঝেমাঝে আমাকে বলতেন মমতা তোর বড় দোষ! তুই এই সিপিএমটাকে ক্ষমা করে দিলি কেন? আমি বলতাম কেন সুব্রতদা? তখন উনি বলতেন জানিস এ যা অন্যায় করেছে তাতে ওকে সপ্তাহে একদিন করে পেটানো উচিত। আজ উনি বেঁচে নেই। কিন্তু ওনার কথাটা আমার মাঝেমাঝেই মনে পড়ে। মারব না আমরা কাউকে। পাপের মার বিচুটি পাতা দিয়ে ঘষলেই চলে যাবে।”