CPIM on I.N.D.I.A Alliance: একসঙ্গে উড়বে জোড়াফুল আর লাল পতাকা? ইন্ডিয়া জোট নিয়ে অস্বস্তি কাটবে CPIM-র পলিটব্যুরো বৈঠকে?
CPIM on I.N.D.I.A Alliance: ইন্ডিয়া জোট নিয়ে বেশ কিছু কাঁটা রয়েছে, সেগুলি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক নীতি নিয়েও আলোচনা হবে। তবে বঙ্গ সিপিআইএমের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, তৃণমূলের সঙ্গে জোটের কোনও সম্ভাবনা নেই।
কলকাতা: শনিবার থেকে শুরু হতে চলেছে সিপিআইএমের (CPIM) পলিটব্যুরো বৈঠক। চলবে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বৈঠকে আগামীদিনের কর্মসূচি যেমন স্থির হবে তেমনই ইন্ডিয়া জোটে দলীয় প্রতিনিধি স্থির করা নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে খবর। এদিকে ইন্ডিয়া জোটে তৃণমূল নাম লেখানোর পর থেকেই অস্বস্তি বেড়েছে বঙ্গ বাম ও কংগ্রেস নেতাদের। বঙ্গে বাম, তৃণমূল ও কংগ্রেসের জোট হবে কি না, তা নিয়েও জোরদার চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে। বঙ্গ সিপিআইএমের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, তৃণমূলের সঙ্গে জোটের কোনও সম্ভাবনা নেই। সোজা কথায় জোট কাঁটা যে রয়েছে তা কার্যত স্পষ্ট। এই অবস্থায় যে বিভ্রান্তি চলছে, তা কাটানো নিয়ে পলিটব্যুরো বৈঠকে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানতে পারা যাচ্ছে।
কেউ কেউ বলছেন, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক চাইলে জোট করতে পারেন। যদিও কারও যুক্তি উপর থেকে চাপিয়ে দিলে হবে না। সেটা সিপিএমে সম্ভব নয়। দলেরই অনেকে বলছেন, পলিটব্যুরো বা কেন্দ্রীয় কমিটি জোর কিছু চাপিয়ে দিতে পারে না। উল্টে তৃণমূল স্তর থেকে যে সিদ্ধান্ত উঠে আসছে তা নিয়ে আলোচনা করতে হয়, শেষে যদি তার পক্ষে বেশি মত আসে তাহলে সেটাকেই অনুমোদন করতে হবে। সিপিআইএমের এক শীর্ষস্তরের নেতা তো বলেছেন, “হরকিষেণ সিং সুরজিৎ তো জ্যোতি বসুকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। কিন্তু জ্যোতিবাবু কি প্রধানমন্ত্রী হতে পেরেছিলেন? ফলে সাধারণ সম্পাদকের একার মতে সব হয় না।” সূত্রের খবর, দলের একাংশের নেতা এই সব যুক্তি দেখিয়ে স্পষ্ট করে দিতে চাইছেন জল্পনা, চর্চা যাই হোক না কেন বঙ্গে জোড়াফুল আর লাল পতাকা একসঙ্গে ওড়ার আপাতত কোনও সম্ভাবনা নেই।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পলিটব্যুরো আর কেন্দ্রীয় কমিটির কোনও নেতা যদি কোনও কারণেও বঙ্গে তৃণমূলের হাত ধরার কথা বলেও ফেলেন তাহলে বৈঠকে বা অন্য ফোরামে রে রে করে উঠবেন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের কর্তা, ম্যানেজাররা। যদিও ইন্ডিয়া জোটে নাম লেখানোর সময়েই এ কথাগুলি কেন ভাবলেন না ‘কমরেডরা’, সেই প্রশ্নও তুলছেন কেউ কেউ।
অন্যদিকে কয়েকদিন পরেই সংসদে বসতে চলেছে বিশেষ অধিবেশন। সেখানে সিপিআইএমের ভূমিকা কি হবে তা নিয়ে দুদিনের বৈঠকে আলোচনা হবে। প্রসঙ্গত, অক্টোবরে সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক আছে। তার আগে এই পর্যালোচনা সভা লোকসভা ভোটের আগে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।