CBI and ED on Narada Case: ‘আপনাদের ডাকার অধিকারই নেই’ স্পিকারের তলবে বিধানসভা কর্তৃপক্ষকে চিঠি কেন্দ্রীয় সংস্থার

CBI and ED on Narada Case: বুধবার দুপুরে বিধানসভায় আসেন ইডি-র এক প্রতিনিধি। তবে স্পিকারের সঙ্গে না দেখে করে চিঠি দিয়ে চলে যান তিনি। সেই চিঠিতে বিধানসভার অধ্যক্ষের তলবের প্রেক্ষিতে ইডি লিখেছে, "আপনাদের ডাকার অধিকার নেই।'' অন্যদিকে সিবিআই-র তরফে বিধানসভায় হাজির হন এক প্রতিনিধি।

CBI and ED on Narada Case: 'আপনাদের ডাকার অধিকারই নেই' স্পিকারের তলবে বিধানসভা কর্তৃপক্ষকে চিঠি কেন্দ্রীয় সংস্থার
চিঠি দিয়েইই বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যান কেন্দ্রীয় সংস্থার প্রতিনিধি। নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 22, 2021 | 5:19 PM

কলকাতা: ‘যা হয়েছে সব নিয়ম মেনেই হয়েছে’, ‘আপনাদের ডাকার অধিকার নেই’। নারদ মামলায় (Narada Case) বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Biman Banerjee) ইডি (ED) ও সিবিআই (CBI)-কে বিধানসভায় (Bidhan sabha) তলবের প্রেক্ষিতে চিঠি দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার। যদিও দুই এজেন্সির তরফে এদিন সশরীরে হাজির হওয়ার কথা বলেছিল বিধানসভা, সেটাও মানা হয়নি।

বুধবার দুপুরে বিধানসভায় আসেন ইডি-র এক প্রতিনিধি। তবে স্পিকারের সঙ্গে না দেখে করে চিঠি দিয়ে চলে যান তিনি। সেই চিঠিতে বিধানসভার অধ্যক্ষের তলবের প্রেক্ষিতে ইডি লিখেছে, “আপনাদের ডাকার অধিকার নেই।” অন্যদিকে সিবিআই-র তরফে বিধানসভায় হাজির হন দুই প্রতিনিধি। তাঁরাও একটি চিঠি বিধানসভার সচিবের কাছে চিঠি দিয়ে বেরিয়ে যান। আরেকটি মেল করেছেন। তবে কোনও তরফেই বিধানসভার স্পিকারের সঙ্গে দেখা করা হয়নি।

উল্লেখ্য, নারদ মামলায় মন্ত্রী তথা বিধানসভার তিন সদস্য সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম এবং মদন মিত্রের বিরুদ্ধে ইডি চার্জশিট পেশ করেছে। এরপর ইডি-র বিশেষ আদালত তাঁদের নামে সমনও জারি করে। সেই সমন স্পিকারের মাধ্যমে অভিযুক্তদের কাছে পৌঁছতে পাঠানো হয় বিধানসভায়। কিন্তু বিধানসভা কর্তৃপক্ষ তা পাঠাতে অস্বীকার করেন। তা থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। বিধানসভার স্পিকারের যুক্তি, প্রিভেনশন অফ কোরাপশন আইন ১৯ (১) অনুসারে বিধায়কের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করতে গেলে বিধানসভার স্পিকারের অনুমোদন নিতে হবে। কিন্তু সেটা নেওয়া হয়নি। স্পিকার দাবি, ‘বিধানসভার মর্যাদা ক্ষুন্ন করার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। বিধানসভাকে বাদ দিয়ে অনুমোদন নিয়ে আসা হচ্ছে। এই পবিত্র স্থানের গরিমা নষ্ট হতে দেব না।’

জনপ্রতিনিধিদের চার্জশিট দেওয়ার ক্ষেত্রে যে আইন রয়েছে, তা লঙ্ঘন করেছে ইডি ও সিবিআই। আর তা ইচ্ছাকৃত ভাবেই করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। কেন এমন করা হল তা সিবিআই ও ইডির থেকে জানতে চেয়ে দুই পক্ষকে তলব করে বিধানসভা কর্তৃপক্ষ। গত শনিবার সেই চিঠি পাঠানো হয়। একইসঙ্গে স্পিকারের অনুমোদন ছাড়া ইডি ও সিবিআই কীভাবে চার্জশিট দিল, সে প্রশ্ন তুলেছেন বিধানসভা কর্তৃপক্ষ।

এর পর ২২ তারিখ দুপুর ১ টার সময় সিবিআই ও ইডি-র প্রতিনিধিদের বিধানসভায় হাজিরা দিতে হবে বলে জানিয়েছিলেন বিধানসভার স্পিকার। নিজাম প্যালেসেও চিঠি পাঠিয়েছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। যার প্রেক্ষিতে বুধবার দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে প্রতিনিধি পাঠানো হলেও তাঁরা কেউই স্পিকারের সঙ্গে দেখা করলেন না। শুধুমাত্র চিঠি রেখে বেরিয়ে যান। এদিকে বিধানসভা সূত্রে খবর, দুই এজেন্সি জানিয়েছে তারা বিধানসভার গরিমা সম্পর্কে সজাগ। তাই কোনওরকম নিয়মনীতি লঙ্ঘন তারা করেনি।

স্পিকারের চিঠি ও তলব প্রসঙ্গে তাদের আইনি ব্যাখ্যা দিয়েছে ইডি। এবং আইনগত ভাবে তারা ভুল করেনি, সেই ব্যাখ্যাই চিঠিতে বিস্তারিত দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রায় একই যুক্তি দিয়েছে সিবিআই-ও। এখন এ নিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়। এই চ্যাপ্টার ক্লোজ হল না। বিষয়টিকে সিরিয়াসলি দেখা হচ্ছে।” এদিকে বিধানসভা কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় বাহিনি প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। উপেক্ষা তো করেনি। একে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েই দেখছে তারা। সূত্রের খবর, বিধানসভা কর্তৃপক্ষ থেকে ফের তলব করা হচ্ছে দুই এজেন্সিকে।

আরও পড়ুন: Primary Teachers: TET ছাড়াই চাকরি! প্রাথমিকের নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিল সংসদ