Malda: জমি বিবাদের জের, তৃণমূল নেতার সালিশি সভায় বেধড়ক মারধর নাবালিকাকে
Malda: তৃণমূল নেতা নারায়ণ মন্ডলের দলের লোকজনের মারের চোটে ওই নাবালিকার বুকে চরম আঘাত লাগে। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হাসপাতালে।
মালদহ: জমি বিবাদ মেটাতে বসেছিল সালিশি সভা। কিন্তু সেখানেই এক নাবালিকাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতা এবং তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ২ নম্বর ব্লক এলাকার মলিওর গ্রামে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদহের (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ওই নাবালিকাকে। সূত্রের খবর, হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক এলাকার মালিওর গ্রামেই সুকুমার মন্ডল এবং সুদাম মন্ডলের মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিবাদ। এদিকে সম্পর্কে তাঁরা দুই ভাই। এদিকে বিবাদ মেটাতে দুই বাড়ির জমি মাপার জন্য প্রস্তুতি নেয়। ডাকা হয় আমিন। এদিকে মাপজোক শুরু হতেই ফের বেধে যায় বিবাদ।
এদিকে দুই ভাইয়ের মধ্যে গন্ডগোলের খবর পেতেই এলাকার বুথ স্তরের তৃণমূল নেতা নারায়ণ মন্ডল এবং তার সঙ্গীরা সেখানে হাজির হন। সালিশি সভা বসিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। কিন্তু অভিযোগ, সুদাম মন্ডলের হয়ে মাপজোককে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন তারা। তখনই সুকুমার মন্ডল ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তার প্রতিবাদ করেন। কিন্তু, তাঁদের অভিযোগ প্রতিবাদ করতেই তাঁদের উপর চড়াও হন তৃণমূল নেতা নারায়ণ মন্ডল এবং তার সঙ্গীরা। ছাড় পায়নি সুকুমার মন্ডলের ১৪ বছরের নাবালিকা মেয়ে। তাকে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এ ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়।
অভিযোগ, নারায়ণ মন্ডলের দলের লোকজনের মারের চোটে ওই নাবালিকার বুকে চরম আঘাত লাগে। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নারায়ণ মন্ডলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তাঁর খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে এলাকার তৃণমূল নেতা তথা যুব ব্লক সভাপতি জিয়াউর রহমান সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। ওদের বিবাদও সম্পূর্ণ পারিবারিক বিষ.। এ ঘটনায় দলের কোনও নেতা মদত দিলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির মালদহ জেলার সাধারণ সম্পাদক কিষাণ কেডিয়া তীব্র আক্রমণ শানিয়ে বলেন, “তৃণমূল নিজেদের মধ্যে হানাহানিতে মেতে আছে। এটা নতুন কিছু নয়। রাজ্য-জুড়ে হিংসা ছড়াচ্ছে তৃণমূল আর এর জেরে সাধারণ মানুষ ভুক্তভোগী করছেন। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবে।”
