Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jalpaiguri: দিনে স্বাস্থ্যকেন্দ্র, রাতেই বদলে যায় চেহারা! বিস্ফোরক অভিযোগ শুনলেন ‘দিদির দূত’

Jalpaiguri: অভিযোগ, এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোনও সীমানা বা প্রাচীর না থাকার কারণে খুব সহযেই সন্ধ্যা হলেই বাইরের লোকজনের যাতায়াত বেড়ে যায়।

Jalpaiguri: দিনে স্বাস্থ্যকেন্দ্র, রাতেই বদলে যায় চেহারা! বিস্ফোরক অভিযোগ শুনলেন 'দিদির দূত'
দিদির দূত বুলুচিক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 02, 2023 | 6:21 PM

জলপাইগুড়ি: ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে গিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ শুনলেন রাজ্যের মন্ত্রী বুলুচিক বরাইক। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দিনের বেলা চিকিৎসার কাজ চললেও, রাতে সেটাই নাকি চেহারা পাল্টে হয়ে যায় নেশাখোরদের আড্ডাখানা! এমনই অভিযোগ তুলেছেন ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মহিলা কর্মীরা। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে ঘোরেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী বুলুচিক বরাইক। সেখানকার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতেই এমন অভিযোগের কথা শুনতে হয় তাঁকে। এছাড়াও আরও নানা সমস্যার কথা তুলে ধরলেন মহিলা কর্মীরা। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী।

জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভেলকিয়া পাড়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঘটনা। এই কেন্দ্রটি মহিলারা পরিচালনা করেন। অভিযোগ, এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোনও সীমানা বা প্রাচীর না থাকার কারণে খুব সহযেই সন্ধ্যা হলেই বাইরের লোকজনের যাতায়াত বেড়ে যায়। কার্যত দুষ্কৃতীদের দখলে চলে যায় বলেও অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নিত্যদিন বসে মদের আসর! নানা অসামাজিক কাজকর্ম চলে বলেও অভিযোগ উঠেছে। আর এতেই আতঙ্কিত এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মহিলা কর্মীরা। এর পাশাপাশি এই উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পানীয় জলের সমস্যাও রয়েছে।

‘দিদির দূত’ হয়ে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজগঞ্জের বিন্নাগুড়ি গ্রামপঞ্চায়েতে যান মন্ত্রী। মহিলাদের অভিযোগ এদিন মন দিয়ে শোনেন মন্ত্রী। সব শুনে তিনি স্থানীয় বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। নেশাখোরদের সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়টি তাঁকে জানিয়ে বিধায়ক কোটা থেকে সীমানা প্রাচীর তৈরি করে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। পাশাপাশি দু দিনের মধ্যে পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানকে নির্দেশ দেন তিনি।

স্বাস্থ্যকর্মী শ্রাবণী মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি মহিলা পরিচালিত। এখানে প্রাচীর না থাকার কারণে রাত হলেই নেশার আসর বসে। আমাদের খুব ভয় লাগে। পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। আমরা আগেই পঞ্চায়েতকে জানিয়েছি সেটা। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। আজ মন্ত্রী মশাই এসেছিলেন বিষয়গুলি তাঁকে জানালাম।’

মন্ত্রী বুলুচিক বরাইক বলেন, ‘আমাকে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁদের সমস্যার কথা বলেছেন। র আমি বিধায়ককে প্রাচীর তৈরি করে দেওয়ার কথা বলেছি। পানীয় জলের সমস্যা দু দিনের মধ্যে মেটাতে বলেছি পঞ্চায়েতকে।’