SC East Bengal: চার বছর পর লাল-হলুদে নয়া ভূমিকায় প্রত্যাবর্তন মৃদুলের

চার বছর আগে ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের (Trevor James Morgan) পরিবর্তে ইস্টবেঙ্গলের কোচ হয়েছিলেন মৃদুল বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ভাগ্য সঙ্গ দেয়নি সে দিন। প্রথম দিনের অনুশীলনেই চোট পেয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছেড়েছিলেন। অ্যাকিলিস টেন্ডনের কারণে অনেক দিন মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছিল তাঁকে।

SC East Bengal: চার বছর পর লাল-হলুদে নয়া ভূমিকায় প্রত্যাবর্তন মৃদুলের
নতুন দায়িত্বে লাল-হলুদের প্রাক্তন কোচ। সৌ: টুইটার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 28, 2021 | 6:48 PM

কলকাতা: যে ইস্টবেঙ্গলে (East Bengal) পা দিয়েই কেরিয়ার শুরু হতে না হতেই শেষ হয়ে গিয়েছিল, সেই ইস্টবেঙ্গলেই প্রত্যাবর্তন। লাল-হলুদের ম্যানেজার হিসেবে নিযুক্ত হলেন মৃদুল বন্দ্যোপাধ্যায় (Mridul Banerjee)। বাংলার সন্তোষ ট্রফিজয়ী (Santosh Trophy) কোচের নতুন ইনিংস শুরু। আসন্ন আইএসএলে মানোলো দিয়াজদের (Manolo Diaz) সঙ্গে ম্যানেজারের দায়িত্ব সামলাবেন মৃদুল বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘ ৩০ বছরের কোচিং অভিজ্ঞতাকে সঙ্গী করেই নয়া ইনিংস শুরু মৃদুলের। দ্বায়িত্ব নিয়ে কালই গোয়া যাচ্ছেন তিনি।

চার বছর আগে ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের (Trevor James Morgan) পরিবর্তে ইস্টবেঙ্গলের কোচ হয়েছিলেন মৃদুল বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ভাগ্য সঙ্গ দেয়নি সে দিন। প্রথম দিনের অনুশীলনেই চোট পেয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছেড়েছিলেন। অ্যাকিলিস টেন্ডনের কারণে অনেক দিন মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছিল তাঁকে। এরপর আর ইস্টবেঙ্গলের কোচ হয়ে ফিরতে পারেননি মৃদুল। সেই যন্ত্রণা দীর্ঘদিনের। এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal) চার বছর পর তাঁকে ম্যানেজার করায় আক্ষেপ অনেকটাই ঘুচল। মোহনবাগান, ইন্ডিয়ান অ্যারোজের পাশাপাশি ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ ও অনূর্ধ্ব-১৬ দলেও কোচিং করিয়েছেন মৃদুল। আইএসএলে দিল্লি ডায়নামোজের সহকারী কোচও ছিলেন।

লাল-হলুদে যোগ দিয়ে মৃদুল বলেন, ‘অবশ্যই গর্ব করার মতো বিষয়। এটা একটা নতুন চ্যালেঞ্জ আমার কাছে। ভারতীয় ফুটবলের প্রশাসক হিসেবে কোচিং করানোর দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আছে আমার। সমর্থকদের আবেগ ভালো মতো জানি। মাঠে এবং মাঠের বাইরে দলকে সামলানোর একটা গুরুদায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে। মর্যাদার সঙ্গেই সেই দায়িত্ব পালন করতে চাই।’

এর সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘একটা আক্ষেপ তো ছিলই। লাল-হলুদে আমার কোচিং কেরিয়ার শুরুর আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। ইস্টবেঙ্গলকে কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছে অনেকদিন ধরেই ছিল। ঈশ্বর পাশে থাকায়, চার বছর পর সেই আক্ষেপ ঘুচল। লাল-হলুদের সাফল্যের জন্য নিজের সবটা কাজে লাগাব।’

এএফসি-এ (AFC-A) লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোচ বাংলাকে সন্তোষ ট্রফিও দিয়েছেন। এছাড়া বাংলার অনূর্ধ্ব-২১ দলকেও দু’বার সাফল্য এনে দিয়েছেন। ২০১৬ সালে তাঁর কোচিংয়ে কলকাতা লিগে দ্বিতীয় হয় মহমেডান স্পোর্টিং। ফুটবলারজীবনে ১৯৭৫ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত কলকাতার প্রিমিয়ার ডিভিশনে খেলা বিভিন্ন ক্লাবে খেলেছেন মৃদুল বন্দ্যোপাধ্যয়।