শুরু হচ্ছে পোস্তা উড়ালপুল ভাঙার কাজ, বন্ধ স্ট্র্যান্ড রোড নর্থ, জেনে নিন নতুন রুট
অবশেষে আগামী ২০ তারিখ থেকে সম্পূর্ণ রূপে পোস্তা উড়ালপুল (Posta Flyover) ভাঙার কাজ শুরু করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। সোমবার রাত ১১টা থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে নর্থ স্ট্যান্ড রোডের যান চলাচল।
কলকাতা: এখনও পর্যন্ত দগদগে রয়েছে স্মৃতি। তারপর থেকে ২০২১ পর্যন্ত সেই ভয়াবহ স্মৃতি নিয়েই দাঁড়িয়েছিল পোস্তা উড়ালপুল। অবশেষে আগামী ২০ তারিখ থেকে সম্পূর্ণ রূপে পোস্তা উড়ালপুল (Posta Flyover) ভাঙার কাজ শুরু করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। সোমবার রাত ১১টা থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে নর্থ স্ট্যান্ড রোডের যান চলাচল।
কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে গাড়ি। এ কে টেগোর স্ট্রিট, মহর্ষি দেবেন্দ্র রোড ও গণেশ টকিজ হয়ে গাড়ি চলাচল করছে। এছাড়াও মহাত্মা গান্ধী রোডকে বড় গাড়ির জন্য দুটি লেন করে দেওয়া হয়েছে। পণ্যবাহী গাড়িগুলিকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ও রবীন্দ্র সরণি থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমজি রোডে ট্রাম চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ। সকাল থেকে শুরু হয়েছে এলাকায় ব্যারিকেড দেওয়ার কাজ।
২০১৬ সালের ৩১ মার্চ। আচমকাই দুপুরে ভেঙে পড় পোস্তা উড়ালপুল। মৃত্যু হয় ২৮ জনের। দাবি ওঠে গোটা উড়ালপুলটি ভেঙে ফেলার। পোস্তা উড়ালপুলের ভবিষ্যৎ ঠিক করতে মুখ্যসচিবকে মাথায় রেখে কমিটি গঠন করা হয়। খড়্গপুর আইআইটির রিপোর্ট অস্পষ্ট থাকায়, টালা ব্রিজের ভাগ্য যিনি নির্ধারণ করেছিলেন, সেই সেতু বিশেষজ্ঞ ভিকে রায়নাকে দায়িত্ব দেয় সরকার। তাঁর পরামর্শে উড়ালপুল ভাঙা হচ্ছে।
কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর প্রধান ফিরহাদ হাকিম পোস্তা ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্তের কথা জানান। এর ফলে কোনও দোকান কিংবা রাস্তার পরিবর্তন হবে না। একটি লেনের পরিবর্তন হতে পারে বলে আপাতত মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অগাস্ট কিংবা তার কিছুটা আশেপাশে! তৃতীয় ঢেউ রুখতে কি ফের কড়া বিধিনিষেধের পথে সরকার?
ঠিক হয়েছে ১৫ জুন থেকে ৪ ধাপে ভেঙে ফেলা হবে কাঠামো। প্রথম দফায় ৪৫ দিনে হাওড়া ব্রিজের সামনে থেকে পোস্তা মোড় পর্যন্ত ভাঙা হবে। পরে ধাপে ধাপে গিরীশ পার্ক পর্যন্ত সবটাই ভেঙে ফেলা হবে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, উড়ালপুল আরও আগে ভেঙে ফেলা ঠিক ছিল। যদিও এই সিদ্ধান্ত নিয়ে দোটানায় ছিল সরকার। পাছে ভাঙতে গিয়ে ফের বিপদ আসে। ফিরহাদ হাকিম দাবি করেছেন, সতর্কতার সঙ্গে কাজ করা হবে। আশেপাশের বাড়ির যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই ভাঙা হবে।