When To Eat Dinner: সেই কবে পুরাণ বলেছিল… এখন বিজ্ঞানও বলছে সময় ধরে খাবার খেলে হার্ট অ্যাটাক হবে না
How to beat heart attack: খাবারের সময় সরাসরি সার্কাডিয়ান ছন্দের সাথে যুক্ত। এই সার্কাডিয়ান ছন্দ শরীরের একটি জৈবিক প্রক্রিয়া- যা ২৪ ঘন্টা একটা চক্রাকারে কাজ করতে থাকে। এই ছন্দের উপর নির্ভর করে আমাদের বিপাক। যখনই খাবার খাওয়ার সময় এই ছন্দের বাইরে চলে যায় তখনই শরীরে চর্বি-সঞ্চয়কারী হরমোনের পরিমাণ বাড়তে থাকে
কাজের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি আমরা পেয়ে থাকি খাবার থেকে। তবে সেই খাবার খাওয়ারও কিছু নিয়ম আছে। সঠিক সময়ে খাবার খেলে তবেই তা ঠিকমতো হজম হয়। সম্প্রতি বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে খাবারের সময় যদি ঠিক না থাকে অর্থাৎ সময় ধরে খাবার খাওয়া না হলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। নেচার কমিউনিকেশন জার্নালে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যত তাড়াতাড়ি খাবার খাওয়া হয় তত কমে হৃদরোগের ঝুঁকি। ৪২ বছর বয়সী মোট ১,০৩,৩৮৯ জনের উপর এই সমীক্ষা করা হয়েছিল। আর সেই গবেষণার পরই এই সিদ্ধান্তে এসেছেন তাঁরা। তবে বেদ এবং পুরাণে অনেক দিন আগে থেকেই এই নিয়মে খাবার গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছিল।
এই গবেষণায় বলা হয়েছে, যদি সকাল ৯ টার পর ব্রেকফাস্ট করেন এবং রাতের খাবার রাত ৯ টার পর খান সেক্ষেত্রে একাধিক শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি থেকে যায়। যাঁরা এই সময়ের বাইরে খাবার খান তাঁদের মধ্যে একাধিক রোগ সমস্যা থেকে যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় মহিলারা এই সময় ধরে খাবার খান না আর তাই তাঁদের মধ্যে রোগ সমস্যা অনেকটাই বেশি। ডিনার যদি রাত ৯ টার পর করা হয় সেক্ষেত্রে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়ে। রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খেয়ে একটা দীর্ঘ সময় শরীরকে উপবাসে রাখতে হয়। এতে শরীর যেমন সুস্থ থাকে তেমনই দ্রুত ওজনও কমে। অর্থাৎ সন্ধ্যে ৬ টায় খাবার খেয়ে আবার পরের দিন সকাল ৯ টার মধ্যে ব্রেকফাস্ট সেরে নিলে শরীর সবথেকে বেশি সুস্থ থাকে। হৃদরোগের সম্ভাবনাও অনেক কম থাকে।
সময়ে খাবার না খাওয়ার সঙ্গে হৃদরোগের দারুণ একটা ঝুঁকি আছে। অনেক মানুষ আছেন যাঁরা দিনের প্রথম খাবারটি ৮-৯টার মধ্যে খান না। আর সময়ে প্রাতঃরাশ না করা ও হার্ট্র সমস্যার মধ্যে পরীক্ষিত যোগসূত্র রয়েছে। দেরীতে খাবার খাওয়ার জন্য সেরিব্রোভাসকুলার রোগের ঝুঁকি ৬% করে বৃদ্ধি পায়। যাঁরা দিনের পর দিন রাত ৯ টার পর ডিনার করেন তাঁদের ক্ষেত্রে সেই ঝুঁকি ২৮% বাড়ে। আর যাঁদের ডিনার টাইম রাত ১১.৩০ এ গিয়ে ঠেকে তাঁদের হৃদরোগের ঝুঁকি তো বাড়েই এছাড়াও একাধিক রোগ সমস্যা এসে উদয় য় শরীরে। যার কারণে আয়ুক্ষয় হতে শুরু করে। দেরীতে প্রাতরাশ, সময়ের মধ্যে ডিনার না সেরে ফেললে হৃদরোগ আসতে বাধ্য।
খাবারের সময় সরাসরি সার্কাডিয়ান ছন্দের সাথে যুক্ত। এই সার্কাডিয়ান ছন্দ শরীরের একটি জৈবিক প্রক্রিয়া- যা ২৪ ঘন্টা একটা চক্রাকারে কাজ করতে থাকে। এই ছন্দের উপর নির্ভর করে আমাদের বিপাক। যখনই খাবার খাওয়ার সময় এই ছন্দের বাইরে চলে যায় তখনই শরীরে চর্বি-সঞ্চয়কারী হরমোনের পরিমাণ বাড়তে থাকে এবং একই সঙ্গে ফ্যাট জমতে থাকে। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত এই নিয়মের সঙ্গে মিল রেখেই তৈরি হয় সার্কাডিয়ান ছন্দ। সেই মত আমাদের শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াও চলতে থাকে। যাঁদের দুপুরের খাবার খেতে খেতে ৪ টে পেরিয়ে যায় আর রাতের খাবার ১১ টা তাঁদের ক্ষেত্রে এই ছন্দ একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়। স্থূলতা এবং হৃদরোগও তখন জাঁকিয়ে বসে।