SSC Recruitment Scam: যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কেন ফৌজদারি মামলা নয়? প্রশ্ন তুললেন বিচারপতিই
SSC Recruitment Scam: যাঁরা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কেন কড়া পদক্ষেপ করা সম্ভব হচ্ছে না? পর্ষদের কাছে জানতে চেয়েছেন বিচারপতি।
কলকাতা: ওএমআর শিট (OMR Sheet) বিকৃত করে যাঁরা চাকরি পেলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হবে না কেন, সেই প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি-র নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল বুধবার। সেখানেই বিচারপতি এই প্রশ্ন রাখেন কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই (CBI)-এর কাছে। বিচারপতির বক্তব্য, ফৌজদারি মামলা বা ক্রিমিনাল কেস (Criminal Case) হলে অভিযুক্ত নিজেকে প্রমাণ করবেন। সে ক্ষেত্রে জেলও হতে পারে, জরিমানাও। বিচারপতি এদিন সিবিআই-কে প্রশ্ন করেন, ওএমআর বিকৃতি সংক্রান্ত পাঁচটি মামলা চলছে, তা সত্ত্বেও এফআইআর হয়নি কেন? ১৬৯৮ জনের ওএমআর শিট বিকৃত হয়েছে বলে অভিযোগ। এদের বিরুদ্ধে কী ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে? তা জানতে চেয়েছেন বিচারপতি। বিচারপতি বসু আরও প্রশ্ন করেন, ‘এই মামলার মূল চক্রী কে? একজন নথি তৈরি করেছে, আর এক দল সুবিধা পেয়েছে। এরা দুজনেই কি সমান দোষী? আপনারা এদের প্রত্যেককে কেন ক্রিমিনাল কেস দিচ্ছেন না?’
জবাবে সিবিআই জানিয়েছে, ওএমআর বিকৃতি সংক্রান্ত মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এখনও তদন্ত চলছে। অন্য কোর্ট একই বিষয়ে নির্দেশ দিচ্ছে বলেও জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। সেই চার্জশিটে ১৫ জনের নাম আছে। শান্তি প্রসাদ সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম আছে বলেও জানিয়েছে সিবিআই।
সিবিআই আদালতে জমা দেওয়া রিপোর্টে আগেই দাবি করেছে ওএমআর শিটে নম্বর বদলে গিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা হয়েছে, যাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৩, তিনি ওএমআর শিটে আসলে পেয়েছেন শূন্য।
শুধু সিবিআই নয়, বিচারপতি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে জানতে চান, যাঁরা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কেন কড়া পদক্ষেপ করা সম্ভব হচ্ছে না? কেন নোটিস দেওয়া হচ্ছে না এদের? পর্ষদ জানায়, পর্যাপ্ত কর্মী নেই। তাই কাজ করতে দেরি হচ্ছে। অভিযোগ, ওএমআর বিকৃত করা হয়েছে এমন ১৬৯৮ জন সুপারিশ পেয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ১৬৯৪ নিয়োগ পান। আগামী ১৫ ফ্রেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।