TMC: বাজারে এসেছিলেন তৃণমূল কর্মী, আচমকা শ্যুটআউট, পলকেই ঝাঁঝরা দেহটা!
Shoot Out: জানা গিয়েছে, মৃত এক্রামুল বন্দীরামগছ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আগডিমটিখুন্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন। এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলে বেশ দাপটও ছিল এক্রামুলের।
উত্তর দিনাজপুর: খোলা রাস্তায় তৃণমূল (TMC) কর্মীকে গুলি করে (Shoot Out) খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ইসলামপুরে বাজার সেরে বাড়ি ফেরার পথে আচমকা গুলি চালায় দুুষ্কৃতীরা। মুহূর্তের মধ্যেই ঝাঁঝরা হয়ে যায় দেহটা। জানা গিয়েছে , মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম এক্রামুল হক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেলে ইসলামপুরের রিঙ্কুয়া বাজারে আসেন ওই তৃণমূল কর্মী। বাজারে কিছু কাজ সেরে বাড়ির পথেই পা বাড়িয়েছিলেন এক্রামূল। সেই সময় তিন দুষ্কৃতী বাইকে এসে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। আচমকা শ্যুট আউটে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। রক্তে ভেসে যায় চারিদিক। ছুটে আসেন আশেপাশের মানুষ। কিন্তু, ওই দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করা আর সম্ভব হয়নি।
মনিরুদ্দিন নামে এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, “দিনে দিনে অশান্তি বাড়ছে এই এলাকায়। আমরা সাধারণ মানুষ রীতিমতো আতঙ্কে ভুগছি। আচমকা এসে গুলি করে দিয়ে চলে গেল লোকটাকে! আমরা কেউ ভাবতেও পারিনি। ধাওয়া করা তো দূরের ব্যাপার।”
জানা গিয়েছে, মৃত এক্রামুল বন্দীরামগছ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আগডিমটিখুন্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন। এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলে বেশ দাপটও ছিল এক্রামুলের। মৃতের ভাই হাসিবুর রহমান চোখের জলে ভাসতে ভাসতে বলেন, “বিগত কয়েকবছর ধরে আমার ভাই হুমকি পাচ্ছিল। দুই-তিনজন ওকে হুমকি দিচ্ছিল। বলেছিল প্রাণে মেরে দেবে। ইমতিয়াজ, ফারুক, বুচুনরা অনেকদিন ধরেই আমার ভাইয়ের পেছনে পড়ে ছিল। আজ গুলি করে দিল। ওদের সঙ্গে আমার ভাইয়ের অনেক বছরের ঝামেলা।”
দিনেদুপুরে শ্যুট আউটের ঘটনায় তৃণমূল ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, “এক্রামুল আমাদের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। তাঁকে কে বা কারা গুলি করেছে জানা নেই। তবে আমরা গোটা ঘটনাটা খতিয়ে দেখছি। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাই। তবে এটা সিপিএমের (CPIM) লোকেদের কাজ। যারা লাল ঝাণ্ডা ছেড়ে আমাদের দলে এসে যোগ দিয়েছে তারাই ভেতরে ভেতরে এই হামলার জন্য উস্কেছে।” যদিও, এই ঘটনায় স্থানীয় বাম নেতৃত্বের দাবি, দল ছেড়ে যারা গিয়েছে তাদের সঙ্গে দলের আর কোনও সম্পর্ক নেই। এটি সম্পূর্ণই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলাফল।
সূত্রের খবর, আগডিমটিখুন্তি, বন্দীরামগছ-সহ একাধিক এলাকা অত্যন্ত সংবেদনশীল। জমি নিয়ে বিবাদ এখানকার নিত্য ঘটনা। জমিবিবাদকে কেন্দ্র করে গোলাগুলি চলা থেকে বোমাবাজি বাদ যায়নি কিছু। গত মার্চ মাসেই জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এই এলাকা। চলে গুলিও। আহত হয় তিন শিশু। মৃত্যু হয় এক নাবালকের। ফের শুক্রবার এভাবে গুলিবর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জমি নিয়েই বিবাদের জেরে খুন হয়েছেন ওই তৃণমূল কর্মী বলে অনুমান সংশ্লিষ্ট মহলে। তবে, দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। মৃত এক্রামুলের দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Malda Murder Case: টানটান ৪ ঘণ্টা! শতদিন পেরিয়ে অবশেষে জেলা আদালতে প্রথম শুনানি হাড়হিম হত্যাকাণ্ডের