Kunal Ghosh: ‘দেখবি আর জ্বলবি, লুচির মত ফুলবি’, ২১ জুলাইয়ের প্রচারে ডিজে বিতর্কে কটাক্ষ কুণালের
Kunal Ghosh: কুণাল ঘোষের বক্তব্য নিয়েই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা। তবে শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান উপলক্ষে ডিজে বাজিয়ে এই ধরনের উন্মাদনা কতটা যুক্তি সঙ্গত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে।
কলকাতা: ২ বছরের করোনা ফাঁড়া কাটিয়ে এবার ধর্মতলায় হতে চলেছে তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের শদিহ স্মরণ। এদিকে গত বছর একুশে জুলাইয়ে মমতার ভাষণ শুরু হওয়ার আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল এক অন্যরকম ছবি। ঘাটালের প্রাক্তন তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ককে ডিজে বাজিয়ে, মন্দিরে পুজো দিয়ে মিছিল করতে দেখা গিয়েছিল। এবার মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে দেখা গিয়েছে সেই একই ছবি। শহীদ স্মরণে প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) সঙ্গে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের পাশাপাশি জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমানের ছবি ও জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেনের ছবি নিয়ে চলল মিছিল। বাজল ডিজে। এই ছবি ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক মহলে তুমুল শোরগোল শুরু হয়ে যায়।
যদিও বিতর্কের আবহে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Trinamool Spokesperson Kunal Ghosh) বলেন, “সারা বাংলা থেকে আসছেন সিনিয়ররা, আসছেন জুনিয়ররা। আসছেন নতুন প্রজন্মের সমর্থকরা। ফলে একদিকে যেমন শহীদদের প্রতি সম্মান এবং তর্পণ থাকছে পাশাপাশি একটা প্রণোচ্ছল সমাবেশও দেখতে পাওয়া যাবে। আগামীদিনের লড়াইয়ের জন্য নতুন প্রজন্মের জোশেরই প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এগুলির যারা সমালোচনা করছেন তাদের জন্য আমি একটা কথাই বলতে পারি শহীদদের প্রতি তর্পণ-শ্রদ্ধা আমরা করতে পারি, এটা আমাদের শেখাতে হবে না। প্রত্যেক বছর আমরা এটা করি। কিন্তু, আগামীদিনের লড়াইয়ের জন্য নতুন প্রজন্মের জোশ দেখে যাদের গা জ্বলছে তাদের জন্য বলতে পারি দেখবি আর জ্বলবি লুচির মত ফুলবি।”
এদিকে কুণাল ঘোষের এ বক্তব্য নিয়েই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা। তবে শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান উপলক্ষে ডিজে বাজিয়ে এই ধরনের উন্মাদনা কতটা যুক্তি সঙ্গত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে নানা মহল থেকে। অন্যদিকে ফের বাংলায় বাড়ছে করোনার পারা। সেই প্রেক্ষাপটে ফের বিশালাকার জমায়েতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকেই।