Panchayat Election: বিভীষণ তুমি কার? পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বাজতেই দড়ি টানাটানি তৃণমূল-বিজেপির
Panchayat Election: ২০২০ সালে বাঁকুড়াতেই একটি রাজনৈতিক সভায় যোগ দিতে গিয়ে এই বিভীষণের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। তখনই খবরের শিরোনামে উঠে আসেন বিভীষণ।
বাঁকুড়া: হাতে মাত্র আর কয়েকটা মাস। ইতিমধ্যেই বেজে গিয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) দামামা। নির্বাচনী উত্তাপে উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে বাংলার মাটি। এদিকে এরইমধ্যে বিভীষণ তুমি কার এই প্রশ্ন ফের উস্কে দিল পদ্ম শিবির। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বাঁকুড়ার (Bankura) চতুরডিহি গ্রামে বিভীষণ হাঁসদার(Vibhishan Hansda) বাড়িতে হাজির হয়ে তাঁকে আসন্ন নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয় দলের তরফে। এদিকে বিভীষণ এখনও ঘাসফুল শিবিরেই আছেন, এমনটাই দাবি তৃণমূল নেতত্বের। এ ঘটনাতেই নতুন করে রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু, কেন এত গুরুত্ব পাচ্ছেন বিভীষণ?
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে বাঁকুড়াতেই একটি রাজনৈতিক সভায় যোগ দিতে গিয়ে এই বিভীষণের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। তখনই খবরের শিরোনামে উঠে আসেন বিভীষণ। এদিকে শরীরিক অবস্থা ভাল নয় বিভীষণের মেয়ের। ২০২০ সালে সে কথা অমিত শাহকে জানাতে তিনি সমস্তরকম সাহায্য়ের আশ্বাস দেন। এদিকে তারপর থেকেই চতুরডিহি গ্রামে বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে আনাগোনা বাড়তে থাকে বিজেপি নেতাদের। এবারে একেবারে দেওয়া হল ভোটে দাঁড়ানোর প্রস্তাব। যদিও বিভীষণ এখনই কোনও সিদ্ধান্তের কথা না জানালেও ভাবতে সময় চেয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি তিনি তাঁদের দলের দীর্ঘদিনের সদস্য। এখনও তিনি তৃণমূলেই রয়েছেন। দল ছেড়ে যাননি। ঘাসফুল শিবিরের দাবি বিজেপি অহেতুক এই সরল আদিবাসী মানুষটিকে নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। এদিকে রচনার অসুস্থতার খবর সামনে আসতেই দুই দলই একে অপরের বিরুদ্ধে সাহায্য না করার অভিযোগে সরব হয়েছিল। কিন্তু, বিভীষণের মেয়েকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা করানোর প্রতিশ্রুতি এলেও তা এখনও পূরণ হয়নি। এ প্রসঙ্গে বিজেপির মন্ডল সভাপতি বিকাশ ঘোষ বলেন, “এনার বাড়িতে স্বারাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ খেয়েছিলেন। এখন বিজেপির তরফে রাষ্ট্রপতি হতে চলেছে দ্রৌপদী মুর্মু। সে কারণেই শুভেচ্ছা জানাতে শাড়ি ও মিষ্টি নিয়ে আমরা তাঁর বাড়িতে শুভেচ্ছা এসেছি। সঙ্গে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা তাঁকে প্রার্থী করারও প্রস্তাব দিয়েছি।”
অন্যদিকে তৃণমূল নেতা শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এটা বিজেপির একটা নোংরা রাজনীতি। বিভীষণ হাঁসদা একজন আদিবাসী মানুষ। উনি বিজেপির সঙ্গে নেই। ওনার পাশে আমরা সমসময় আছি। ওনার সরলতার সুযোগ নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করছে। আমরা এর ধিক্কার জানাচ্ছি।” অন্যদিকে এত চাপানউতরের মধ্যে বিভীষণ বলেন, “সাঁওতাল সম্প্রদায় থেকে কোনও মহিলা যে রাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন এটা খুবই ভাল লাগছে। মমতা সবই কাজ করেন কিন্তু, সাঁওতাল সম্প্রদায় নিয়ে অতটা ভাবেননি। তবে বিজেপি থেকে দাঁড়ানোর ব্যাপারে এখনও কিছু ভাবিনি। পরবর্তীতে চিন্তাভাবনা করে বলব।”