Beauty Tips: প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা ল্যাপটপের সামনে! ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকে জেল্লা ফেরাতে রইল জরুরি টিপস
Skin Care Routine: সুস্থ ত্বকের ক্ষেত্রে তা বেশ ক্ষতিকর। সেই ক্ষতি থেকে নিজের স্বাভাবিক ত্বককে কীভাবে রক্ষা করবেন, তারই কিছু জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ টিপস দেওয়া রইল
প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে চোখ রেখে নাগাড়ে কাজ করে যাওয়া কিংবা মোবাইলের স্ক্রিনের সামনেই দিনের অর্ধেকটা সময় ককেটে যায় অধিকাংশের। কখনও অফিসের কাজ, কখনও বিরতি নিয়ে নেটফ্লিক্সে মজে যাওয়া, নিউ নর্ম্যাল জীবন থেকে বের হওয়াই এখন মুশকিল হয়ে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে,কম্পিউটার বা ল্যাপটপের মধ্যে মুখ গুঁজে থাকলে ত্বকের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে। কারণ বেশিক্ষণ স্ক্রিনটাইমের জেরে কিছু মারাত্মক রশ্মি বিকিরণ ঘটে। সুস্থ ত্বকের ক্ষেত্রে তা বেশ ক্ষতিকর। সেই ক্ষতি থেকে নিজের স্বাভাবিক ত্বককে কীভাবে রক্ষা করবেন, তারই কিছু জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ টিপস দেওয়া রইল…
সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন
যখনই স্ক্রিনের সামনে বসবেন, তখন ত্বককে রক্ষা করতে ৩০ এসপিএফের সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। তাতে ল্যাপটপের স্ক্রিন থেকে বিকিরিত ক্ষতিকর রশ্মি প্রতিরোধ করতে সুবিধা হবে। এমনকি বাড়ি থেকে কাজ করলেও একটি সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করাটা আবশ্যিক। এছাড়া প্রতি ২ থেকে ৩ ঘণ্টা অন্তর পুনরায় সানস্ক্রিন প্রয়োগ করুন।
অল্প সময়ের জন্য নিজেকে সময় দিন
কাজের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ মিনিচের জন্য বিরতি নিন। স্ক্রিন থেকে ক্রমাগত বিকিরণের জন্য ত্বকের ক্ষতি করতে দেবেন না। এছাড়া পেন বা কাগজ দিয়ে নিজের খাতায় লিখে ফেলুন কিংবা পিডিএফে কিছু না পড়ে একটি বই পড়তে পারেন। তাতে ত্বকের ক্ষতি অনেকটাই হ্রাস করা যাবে। স্ক্রিনটাইম যতটা সম্ভব কমিয়ে আনার চেষ্টা করুন।
টোনার ব্যবহার করুন
দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারের সামনে কাজ করলে ত্বকের মধ্যে ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ দেখা যায়। তাই ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করতে টোনার ব্যবহার করুন। অ্যালকোহল-ফ্রি টোনার ব্যবহার করা ভাল। সকালে সানস্ক্রিন লাগানোর আগে ও কাজ থেকে ফেরার পর রাতেও এটি ব্যবহার কররুন। শুষ্ক ত্বক থেকে রেহাই পেতে ত্বকের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে একটি প্যাক হিসেবে মুখে হাইড্রেটিং জেল ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যান্টি-এজিং পণ্য
যখনই ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের বিকিরণের মুখোমুখি বেশি হলে ত্বকের মধ্যে দ্রুত বয়স্কভাব দেখা যায়। ফাইনস লাইন ও বলিরেখা যত দ্রুত দেখা যায়, তত বেশি বয়স্ক দেখায়। এমন পরিস্থিতি প্রতিরোধ করতে অবশ্যই অ্যান্টি-এজিং পণ্য ব্যবহার শুরু করুন। ত্বকের রুটিন মেনে এক বা দুটি অ্যান্টি-এজিং পণ্য যোগ করার চেষ্টা করুন। তাতে ত্বককে দীর্ঘ সময়ের জন্য তরুণ রাখতে সাহায্য করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার এবং সিরাম
ক্ষতিকর বিকিরণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আপনার ত্বকে দরকার অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের প্রয়োজন। রাতের জন্য ভাল মানের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সিরাম ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এই পণ্যগুললি সারারাত ত্বককে আরাম দেবে। সকালে উঠে দেখবেন আগের তুলনায় ত্বক অনেকটাই উজ্জ্বল হয়ে গিয়েছে।
মুখে ম্যাসাজ করুন
কম্পিউটারের সামনে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে আপনার ত্বক ক্লান্ত ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এমন অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে ভাল ম্যাসাজ ছাড়া আর কিছু ভাবাই যায় না। মুখে ম্যাসাজ করতে হলে অবশ্যই ভাল জেল বা ক্রিম ভিত্তিক পণ্য ব্যবহার করুন। তারপর রোলার ম্যাসাজার ব্যবহার করুন। তাতে ত্বক হবে শিথিল ও রক্ত সঞ্চালনও স্বাভাবিক হবে।
বরফ ব্যবহার করুন
ত্বককে শিথিল ও ঠান্ডা করার একটি দুর্দান্ত উপায় হল সমস্ত মুখে বরফ ঘষা। সরাসরি মুখের বরফ প্রয়োগ করবেন না। কোনও নরম কাপড়ে মুড়িয়ে তারপর ব্যবহার করুন।
চোখের উপর শসা দিন
ত্বকের পাশাপাশি চোখকেও রাখতে হবে আরামে। ক্লান্ত চোখে সতেজতা আনতে ও শিথিল করতে গোল করে কাটা শসা কয়েক মিনিট চোখের উপর দিয়ে রাখুন। চোখের উপর থেকে ক্লান্তি দূর হবে তো বটেই, চোখের পাশের ত্বকও শিথিল হবে।
সঠিক ও স্বাস্থ্যকর খাবার খান
বাইরে পরিচর্চা তো করবেনই, ভিতর থেকেও ক্ষতির সঙ্গে লড়াই করার জন্য ত্বককে প্রস্তুত রাখা দরকার। খাদ্যতালিকায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে তাজা শাকসবজি ও ফল খান। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। সঙ্গে ডিটক্স করার জন্য গ্রিন টি ও ফলের রস খেতে পারেন। তাতে ত্বককে দীর্ঘ সময়ের মধ্যে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব।