শীতের মরশুমে পা ফাটার সমস্যায় জেরবার, সমাধানে রইল ঘরোয়া টোটকা

ঘরোয়া পদ্ধতিতে সামান্য যত্ন নিলেই হবে মুশকিল আসান।

শীতের মরশুমে পা ফাটার সমস্যায় জেরবার, সমাধানে রইল ঘরোয়া টোটকা
ঘরোয়া পদ্ধতিতে সামান্য যত্ন নিলেই হবে মুশকিল আসান। খরচও বেশি নয়। খালি প্রয়োজন একটু ধৈর্য।
Follow Us:
| Updated on: Dec 11, 2020 | 5:55 PM

শীতকালে পা ফাটার সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। প্রতি বছর শীত আসার আগে থেকেই আতঙ্কে ভুগতে থাকেন তাঁরা। পায়ের এতই বেহাল দশা হয় যে রাস্তাঘাটে বেরনো মুশকিল হয়ে যায়। সেই সঙ্গে পা ফাটার কারণে গোড়ালিতে ব্যথাও হয়। জুতো পরতে অসুবিধে হয়।

তবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে সামান্য যত্ন নিলেই হবে মুশকিল আসান। খরচও বেশি নয়। খালি প্রয়োজন একটু ধৈর্য। আর নিয়ম করে এইসব টিপস ফলো করতে হবে।

১। রাতে শুতে যাওয়ার আগে প্রথমে গরম জলে পা ডুবিয়ে ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। এক ছিটে নুন বা লিকুইড শ্যাম্পু দিতে পারেন গরম জলে। পা ভাল করে পরিষ্কার হয়ে গেলে শুকনো করে মুছে নিতে হবে।

২। এর পর গোড়ালিতে পুরু করে যেকোনও থিক বা মোটা অর্থাৎ ঘন ক্রিম লাগাতে হবে। যাঁদের পা ফাটার বেশি প্রবণতা তাঁরা ক্রিমের সঙ্গে গ্লিসারিন মিশিয়ে নিতে পারেন। ভাল করে ক্রিম ম্যাসাজ করার পর গোড়ালির ফাটা অংশে ক্রিম বসিয়ে দিতে হবে।

৩। পা ফাটার সমস্যা থাকলে দিনে স্নানের সময় এবং রাতে শোয়ার আগে এই দু’বার পিউমিক স্টোন দিয়ে পা পরিষ্কার করতে হবে। স্নানের আগে পরিষ্কারের সময় অল্প নুন আর একটু অলিভ ওয়েল একটা বাটিতে মিশিয়ে নিন। তারপর সেই মিশ্রণ আর পিউমিক স্টোন দিয়ে গোড়ালি ঘষে পা পরিষ্কার করে নিন। রাতে শোয়ার আগে পরিষ্কারের সময় নরম ব্রাশ (পা পরিষ্কারের আলাদা ব্রাশ) আর লিকুইড শ্যাম্পু বা লিকুইড সোপ দিয়ে ভাল করে ঘষে গোড়ালি পরিষ্কার। বিশেষ করে যাঁরা রো বাইরে বেরোন তাঁদের এটা রোজ করতে হবে। কারণ নইলে গোড়ালির ফাটা অংশে ময়লা জমে যাবে।

আরও পড়ুন- মাত্র ৫ উপায়ে দূর করুন বলিরেখা

৪। রাতে নরম সুতির মোজা পরে ঘুমোতে পারলে ভাল। এতে পা ফাটার প্রবণতা কমে। আর পায়ে ক্রিম লাগালে সেটাও থেকে যায়। সারা বিছানায় লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। পুরু করে ক্রিম লাগালে গোড়ালি যত নরম থাকবে তত ফাটবে কম।

৫। পা ফাটা থেকে বাঁচতে গেলে পা পরিষ্কার যেমন প্রয়োজন, তেমনই দরকার তেল এবং ক্রিমের মালিশ। দিনে এবং রাতে দু’বার অল্প সময় বের করে এই ম্যাসাজ করতে পারলেই মিলবে সমাধান।

৬। গোড়ালি ছাড়া পায়ের বাকি অংশের ফাটা রোধ করতে ক্রিম লাগান। তেল মাখুন। লুফা দিয়ে স্নানের সময় নিয়ম করে পা পরিষ্কার করুন। রাতে শোয়ার আগে গোড়ালির সঙ্গে সঙ্গে পায়ের বাকি অংশও পরিষ্কার করতে হবে।

৭। শীতকালে রাস্তাঘাটে অবশ্যই মোজা এবং ঢাকা জুতো পরে বেরনো ভাল। তার ফলে পায়ে ধুলোবালি কম লাগে। পা ফাটার সমস্যা দেখা যায় না।

৮। সময় থাকলে দুধ, গোলাপ জল এবং মধু দিয়ে পা পরিষ্কার করতে পারেন। এই মিশণে বেশ খানিক্ষণ পা ডুবিয়ে রাখলে চামড়া নরম হয়।

৯। যাঁদের পা ফাটার প্রবণতা রয়েছে তাঁরা খেয়াল রাখবেন শীতের রুক্ষ আবহাওয়ায় আপনার পা যেন কোনওভাবে ময়শ্চারাইজার ছাড়া না থাকলে। এমনটা হলেই বিপদ।