Fullers Earth for Hair: চুলের যত্নে কখনও মুলতানি মাটি ব্যবহার করে দেখেছেন? আশ্চর্য ফলাফল পাওয়া যায়…
মুলতানি মাটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, সিলিকা এবং ক্যালসিয়াম। সেই সঙ্গে মজুত রয়েছে আয়রন, ক্যালসাইট এবং ডলোমাইট, যা স্ক্যাল্পের ভিতরে পুষ্টির ঘাটতি যেমন দূর করে, তেমনি টক্সিক উপাদানের মাত্রাও কমায়।
সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির খারাপ প্রভাব এবং বায়ু দূষণের ঝক্কি সহ্য করার পরেও যদি চুল সুন্দর আর মোলায়েম (Soft Hair) করে তুলতে হয়, তাহলে স্ক্যাল্প ও চুলের যত্নে মুলতানি মাটির (Fullers Earth) ব্যবহার মাস্ট। কিন্তু প্রশ্ন হল চুলের পরিচর্যায় (Hair Care) এই প্রাকৃতিক উপাদানটিকে কীভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে?
মুলতানি মাটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, সিলিকা এবং ক্যালসিয়াম। সেই সঙ্গে মজুত রয়েছে আয়রন, ক্যালসাইট এবং ডলোমাইট, যা স্ক্যাল্পের ভিতরে পুষ্টির ঘাটতি যেমন দূর করে, তেমনি টক্সিক উপাদানের মাত্রাও কমায়। ফলে ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না।
খুশকির সমস্যা দূর করতে:
বাস্তবিকই খুশকির মতো স্ক্যাল্পের রোগের প্রকোপ কমাতে মুলতানি মাটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে এক্ষেত্রে কিন্তু সরাসরি এই মাটিটা স্ক্যাল্পে লাগালে কিন্তু চলবে না। বরং ৪ চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে ৬ চামচ মেথি বীজ এবং ১ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর সেই পেস্টটা স্ক্যাল্পে এবং চুলে লাগিয়ে কম করে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে চুল।
রুক্ষ চুলের সমস্যা দূর করতে:
মুলতানি মাটি যে শুধু ত্বকের পরিচর্যাতেই কাজে আসে এমন নয়। বরং চুলের যত্নেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি। যেমন ড্রাই হেয়ারের সমস্যা দূর করতে মুলতানি মাটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এক্ষেত্রে ৪ চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে হাফ কাপ দই এবং অর্ধেক লেবু থেকে সংগ্রহ করা রস মিশিয়ে একটি হেয়ারপ্যাক বানিয়ে নিতে হবে। তারপর সেই মিশ্রনটি ধীরে ধীরে স্ক্যাল্প এবং চুলে লাগিয়ে কম করে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপর সালফেট ফ্রি শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে চুল।
হেয়ার ফল কমাতে:
মাত্রাতিরিক্ত হারে চুল পড়ার কারণে বেশ চিন্তায় থাকেন অনেকেই। দেরি না করে ২ চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে ১ চামচ লেবুর রস, ১ চামচ গোলমরিচ এবং ২ চামচ দই অথবা অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে সেই হেয়ারপ্যাকটি স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ফেলুন। তারপর ৩০ মিনিট হয়ে গেলে ভাল করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই পেস্টটি নিয়মিত কাজে লাগালে চুলের গোড়ায় অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তে প্রবাহ বাড়তে শুরু করে।
তথ্যসূত্র: পপএক্সো