Hair Trimming: নিয়মিত চুল কাটলেই কি রাজকন্যার মত একঢাল লম্বা চুল পাওয়া যায়? জানুন…
Hair Care Tips: চুলের ডগা ফেটে গেলে অবশ্যই নিয়ম করে চুল কাটবেন

চুল নিয়ে অভিযোগের আর শেষ নেই। চুলে যতই ট্রিটমেন্ট করা হোক না কেন কিছুতেই যেন মনের মত চুল পাওয়া যায় না। আয়নার সামনে চুল আঁচড়াতে দাঁড়ালেই মনের মধ্যে আসে একরাশ বিরক্তি। তখন মনে হয় সবার চুল সুন্দর, খালি নিজেরটার দিকে তাকানো যায় না। এদিকে সবচেয়ে বেশি খরচা হয় চুলের পেছনেই। নিয়মিত শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, পার্লারে যাওয়া, চুলে আয়রন চালানো, কেরাটিন ট্রিটমেন্ট, স্ট্রেটনিং- গালভরা যতই নাম থাকুক না কেন কোনও কেমিক্যাল ট্রিটমেন্টই চুলের জন্য ভাল নয়। এতে চুলের খুবই ক্ষতি হয়। চুল রুক্ষ্ম হয়ে যায়। চুল ঠিকভাবে বাড়েও না।
তবে চুল নিয়ে এখনও অনেকে মা-ঠাকুমাদের দেওয়া টোটকা মেনে চলেন। নিয়মিত চুলে তেল দেওয়া, শ্যাম্পুর পাশাপাশি দিদিমারা বলতেন নিয়মিত চুল কাটলে তবেই ঘন লম্বা চুল পাওয়া যায়। আজকাল ছোট চুল বলে অনেকেই সময়মতো চুল ট্রিম করেন না। ফলে চুলের গোড়া নষ্ট হয়ে যায়। চুলের গোড়া ফেটে যদি চুল বাড়তে থাকে তাহলে চুল গোড়া থেকে নষ্ট হয়ে যায়।
তবে নিয়মিত চুল কাটলেই যে চুল লম্বা হবে এরকমটা একেবারেই নয় বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। চুল লম্বা হওয়ার সঙ্গে চুল কাটার বিশেষ কোনও যোগ নেই। চুলের নিজস্ব কোনও স্নায়ু নেই। চুল বাড়ে স্ক্যাল্প থেকে। তাই চুলের ডগা না কাটলে যে চুল বাড়বে না এরকমটা একেবারেই নয়। আর তাই লম্বা চুলের জন্য সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
1.নিয়মিত প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। তেল, মশলা যত কম খাওয়া যায় ততই ভাল। 2.রোজ শাকসবজি, ফল এসব খেতেই হবে। 3.সকালে উঠে খালিপেটে ভেজানো আমন্ড খান। এছাড়াও একমুঠো ছোলা আর গুড় খেলেও কাজে আসবে। 4.অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন এবং প্রয়োজনীয় খনিজ নিয়মিত ভাবে খাওয়া খুবই দরকার। 5.অতিরিক্ত চিন্তা করলেও চুল পড়ে। এছাড়াও হরমোনের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা থাকলে সেখান থেকেও হতে পারে সমস্যা। থাইরয়েডের সমস্যা থাকলেও চুল পড়ে।
6.যাঁদের খুশকির সমস্যা বেশি হয়, তাঁদেরও হেয়ার ফল বেশি হয়।
তাই সুন্দর চুল পেতে চুলের পেছনে অযথা পয়সা খরচ করবেন না। অতিরিক্ত কোনও ট্রিটমেন্টও করবেন না। এতে আখেরে ক্ষতি হয় চুলেরই। প্রয়োজনে চুল অবশ্যই ট্রিম করবেন। তবে প্রয়োজন না থাকলে অযথা ট্রিম করে পয়সা খরচ করবেন না।





