Scalp Pimples: মুখে তো বটেই, মাথার ত্বকেরও রয়েছে ব্রণের সমস্যা! মুক্তি পেতে এই ৬টি ঘরোয়া উপায়েই মিলবে সমাধান
স্ট্রেস, হরমোনের ভারসাম্য, নির্দিষ্ট কিছু খাবার এবং অস্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এই সমস্ত ব্রণ দেখা দেওয়ার কারণ হতে পারে।
স্কাল্প পিম্পল (Scalp Pimples) এক ধরনের ফলিকুলাইটিস (folliculitis) বা চুলের ফলিকলের জ্বালাভাব। কখনও কখনও এটি জ্বালাভাব ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও অন্যান্য সংক্রমণের কারণে হতে পারে। মুখের ত্বকে যদি ব্রণের ( Traditional acne) প্রবণতা থাকে, তাহলে হেয়ারলাইন বরাবর ব্রণ হওয়া খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। এটি স্ক্যাল্প ফলিকুলাইটিস (scalp folliculitis) নামেও পরিচিত। তবে প্রথম থেকে এই বিষয়ে নজর না দিলে হালকা থেকে গুরুতর পর্যায় পর্যন্ত চলে যেতে পারে। সেবাম (sebum), শরীরের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার বা মৃত ত্বকের কোষের কারণে ছিদ্রপথ আটকে গেসে ত্বকে ব্রণ (Facial Acne) তৈরি হয়। মাথার ত্বকে ব্রণ একই কারণে ঘটে। তবে এটি চুলের রেখাবরাবর বা তার বাইরে গিয়েও মাথার ত্বকে (Hair Skin) দেখা যায়।
নিয়মিত চুল না ধোয়া, টাইট হেয়ারব্যান্ড ব্যবহার করা, মাথার ত্বকে চুলের বিভিন্ন পণ্য জমা হয়ে থাকলে মাথার ত্বকে ব্রণ হওয়া স্বাভাবিক।মাথার ত্বকে ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস, পুস্টুলস বা নোডিউলের আকারে মাথার ত্বকের পাশাপাশি মাথার পিছনের অংশে বিস্তারিত হয়। ম্যালাসেজিয়া ইস্ট, স্ট্যাফিলোকক্কাস অরিয়াস, ডেমোডেক্স ফলিকুলরাম এবং কার্টোব্যাকটেরিয়ামের মতো জীবাণুগুলি মাথার ত্বকে মারাত্মক ব্রণ সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া স্ট্রেস, হরমোনের ভারসাম্য, নির্দিষ্ট কিছু খাবার এবং অস্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এই সমস্ত ব্রণ দেখা দেওয়ার কারণ হতে পারে।
মাথার ত্বকে ব্রণ হওয়ার থেকে মুক্তি পেতে কিছু ঘরোয়া উপায়
– মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখুন এবং আপনার চুল ভালভাবে ধুয়ে নিন। চুলে কোনো পণ্য নিয়ে বিছানায় ঘুমাতে যাওয়া এড়িয়ে চলুন। যদি জেল, স্প্রে ইত্যাদি ব্যবহার করেন, বাড়িতে ফিরে দ্রুত ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত আপনার চিরুনি, চুলের ব্রাশ, টুপি এবং বালিশের কভার ধুয়ে নিন।
– মাথার ত্বকের ফুসকুড়ির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে টপিকাল রেটিনয়েড এবং বেনজয়াইল পারক্সাইডের ব্যবহারও অন্তর্ভুক্ত। ফলিকুলাইটিসের চিকিৎসায় টপিকাল স্টেরয়েড ক্রিম এবং অ্যান্টিহিস্টামাইন ব্যবহার করতে পারেন।
– তৈলাক্ত পণ্যগুলি থেকে দূরে থাকুন। মাথার ত্বকের ছিদ্রগুলি তাতে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধের সঙ্গে একটি খুশকির শ্যাম্পু কিনতে পারেন।
– এই শ্যাম্পুগুলি ব্যবহার করা আপনাকে মাথার ত্বকের হালকা ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করতে পারে। যদি গুরুতর, অনবরত হতে থাকে , চুল পড়া এবং প্রদাহ হতে শুরু করে তাহলে চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না যেন।
– মাথার ত্বকের ব্রণের সম্ভাব্য ওষুধের মধ্যে টপিকাল অ্যান্টিবায়োটিক, স্টেরয়েড ক্রিম বা ইনজেকশন, ওরাল অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিহিস্টামাইনস (অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়ার চিকিৎসার জন্য), ফটোথেরাপি, শারীরিক নিষ্কাশনের মাধ্যমে ছিদ্র পরিষ্কার করা বা আইসোট্রেটিনোইন (কেবলমাত্র গুরুতর ব্রণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ভিটামিন এ) থাকতে পারে।
– চুলে তেল দেওয়া এবং অনেক স্টাইলিং পণ্য ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। হিট স্টাইলিং সরঞ্জামগুলি খুব ঘন ঘন ব্যবহার করবেন না।
– সালফার এবং স্যালিসিলিক অ্যাসিডের মতো অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান দিয়ে তৈরি মেডিকেটেড শ্যাম্পু দিয়ে লেদারিং করে চুল ও মাথা পরিস্কার করুন।
– চুল ধুয়ে ফেলার আগে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি শ্যাম্পুটিকে পাঁচ মিনিটের জন্য বসিয়ে রাখা ভাল। যা চুলকানি, ফলিকুলাইটিস এবং খুশকি দূর করতে স্যালিসিলিক অ্যাসিড এবং পাতলা সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইটকে একত্রিত করে।
আরও পড়ুন: Vitamin E Hacks: এই বসন্তে চাই লাবণ্যময় নিখুঁত ত্বক! হাতে রয়েছে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের রহস্য