Hairfall in Summer: গরমে জলের মত ঝরে পড়ছে সাধের চুল! এই একটিমাত্র উপাদানেই হবে মুশকিল আসান
Hairfall Problem: হালকা হলুদ রঙের এই তৈলিক পদার্থ, মূলত রিসিনাস কমিউনিস্ট প্রজাতির উদ্ভিদের বীজ থেকে নিষ্কাশন এর মাধ্যমে তৈরি করা হয়। প্রাথমিক অবস্থায় এর মধ্যে বিষাক্ত এঞ্জাইম রেসিন থাকে যা ব্যবহার করা অত্যন্ত ক্ষতিকর।
গরমে (Summer Season) তেষ্টা মেটাতে দেদার চলছে আইসক্রিম, কোলা বা আমের শরবত খাওয়া। অনেকে হয়ত জানেন না, এই ঠান্ডা পানীয়ের দৌলতে চুলের অবস্থা হতে পারে শোচনীয়। কারণ, এগুলি চুলের উপর দারুণ প্রভাব ফেলে। স্নান করতে গিয়ে বা চুলে ব্রাশ করার সময় জলের মত চুল ঝরে পরা (Hairfall Problem) কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। কারণ ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চুলেরও যত্নের (Hair Care) প্রয়োজন হয়। চুল পড়া রোধ করতে বিভিন্ন হেয়ার প্যাক, কৌশল ও পার্লারে গিয়ে স্পা করেও কোনও প্রতিকার পাননি। তাহলে উপায় কী? চুল ঝরে যাওয়া বন্ধ করতে কী করবেন, তার জন্য কী প্রয়োজন, সে সম্পর্কে এখনও অধিকাংশ তা জানেন না।
ক্যাস্টর অয়েল বা রেড়ির তেল একটি অতি সাধারণ এবং প্রাকৃতিক গুণসম্পন্ন ভেষজ তেল। হালকা হলুদ রঙের এই তৈলিক পদার্থ, মূলত রিসিনাস কমিউনিস্ট প্রজাতির উদ্ভিদের বীজ থেকে নিষ্কাশন এর মাধ্যমে তৈরি করা হয়। প্রাথমিক অবস্থায় এর মধ্যে বিষাক্ত এঞ্জাইম রেসিন থাকে যা ব্যবহার করা অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই হিটিং প্রসেসের মাধ্যমে এর বিষাক্ত প্রভাবকে ধ্বংস করে তবেই তাকে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা হয়। বহু প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত এই তেল শুধুমাত্র দৈনন্দিক কাজে নয় প্রাচীন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাতেও বহুল পরিমাণে ব্যবহৃত হত।
ক্যাস্টর অয়েলে রয়েছে উচ্চ ফ্যাটি-অ্যাসিড। এছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। ক্যাস্টর অয়েলে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-অ্যালার্জেনিক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, ইমিউন-বুস্টিং এবং অ্যানালজেসিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
ক্যাস্টর অয়েলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্যাটি অ্যাসিড উপাদান সূক্ষ্ম চুলকে পুষ্টি যোগায়। ফ্রি র্যাডিকালের ক্ষতি ও প্রদাহ বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে। কোনও রকম পরিশ্রম ছাড়াই শুধুমাত্র ঘরোয়া উপকরণ এর মাধ্যমে পাওয়া যায় । সপ্তাহে একবার মেথির সাথে কাস্টার অয়েল মাস্ক বানিয়ে চুলে লাগালে চুল ওঠার সমস্যা কমে এবং চুলের গোড়া শক্ত করে । ক্যাস্টর অয়েল চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ক্যাস্টর অয়েল ময়েশ্চারাইজার হিসাবেও দারুণ কাজ করে। এটি মাথার স্ক্যাল্পে ও চুলের গভীরে ঢুকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাতে চুল হয়ে ওঠে ঘন কালো ও সুন্দর।
ক্যাস্টর অয়েলে উপস্থিত ওমেগা ৯ ফ্যাটি অ্যাসিড চুলকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলতে সাহায্য করে। যার জেরে মাথায় নতুন করে চুল গজাতে ও ঘন করতে সাহায্য করে। ক্যাস্টর অয়েলে থাকা ভিটামিন ই চুলের বৃদ্ধির জন্য ভাল। রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি হলে চুলের বৃদ্ধি হয়। শুধু মাথার চুলই নয়, ভুরুর লোম ও চোখের পল্লবের ক্ষেত্রেও একই ভাবে কার্যকর এই তেল। রিসিনোলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ হওয়ায় চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে যেমন সাহায্য় করে, তেমন দ্রুত চুল পড়াও রোধ করে।
দুই সপ্তাহে অন্তত একবার ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। অল্প মাসাজ করে তারপর শ্যাম্পু করে নিতে পারেন। কয়েকদিনের মধ্যেই আপনি চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।