Hair Care: কোভিডের কারণে চুল পড়া বেড়েছে? জেনে নিন কীভাবে চুল পড়া থেকে নিজেকে বাঁচাবেন
নিজেকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখার চেষ্টা করুন, দেখা যাবে, আস্তে আস্তে আপনার পারিপার্শ্বিক নানান রোগ কেটে গেছে। সে চুল পড়াই হোক বা সেই কারণে তৈরি হওয়া দুশ্চিন্তা।
এমডি চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ, ডঃ স্তুতি খারে শুক্লা ‘হেয়ার গ্রোথ কুইন অফ ইন্ডিয়া’ নামে পরিচিত। তিনি সম্প্রতি হঠাৎ করে চুল পড়া শুরুর কারণ হিসেবে টেলোজেন ইফ্লুভিয়ামকে দায়ী করেছেন। মূলত আমাদের অতিরক্ত চাপ, পুষ্টির অভাব এবং প্রদাহজনিত প্রতিক্রিয়ার কারণে এই চুল পড়ার শুরু হয়।
টেলোজেন এফ্লুভিয়াম কী?
হঠাৎ করে প্রতিদিন ১০০ টিরও বেশি চুল পড়া দিয়ে শুরু হয়ে তারপর একদিন মাথার সব চুল উথে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়। ডঃ খারে বলেন, “টেলোজেন এফ্লুভিয়াম খুব সাধারণ এবং যেকোনো ধরনের ভাইরাল ইনফেকশন যেমন টাইফয়েড, ম্যালেরিয়া ইত্যাদির পরে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আপনি সম্মুখীন হতে পারেন। এই রোগে আপনার ৫ থেকে ৬ মাসের জন্য চুল পড়তে পারে। এই সময় আপনার খাবার সম্পর্কে খুব বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন। আপনার প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার থাকা উচিত আর তাতে পুষ্টির মাত্রা সর্বোচ্চ হওয়া উচিত। খাওয়ার খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে কাজ শুরু করবেন না। এছাড়াও আপনার শারীরিক এবং মানসিক চাপ কম হওয়া উচিত।
View this post on Instagram
ডঃ খারে আরও পরামর্শ দিয়েছেন যে কেউ দ্রুত পুনরুদ্ধারের জন্য সাপ্লিমেন্টও বেছে নিতে পারেন। “বাজারে সাপ্লিমেন্ট পাওয়া যায় যা চুলের বৃদ্ধিতে বিশেষ সাহায্য করতে পারে। শুধু খেয়াল রাখবেন যে, আপনি অ্যামিনো অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, মাল্টিভিটামিনসের পরিপূরকগুলি বেছে নিচ্ছেন। এর বাইরেও চিকিৎসা আছে। আপনি চুলের বৃদ্ধির জন্য বুস্টার, প্লাজমা থেরাপি বেছে নিতে পারেন। এগুলি আপনার চুলের বৃদ্ধিতে অনেক দ্রুত সাহায্য করবে। আপনি উদ্ভিজ্জ লোশনও ব্যবহার করতে পারেন, যেমন রেডেনসিল এবং লিপসাইল। যা কোভিডের পরে হালকা, মাঝারি কিংবা গুরুতর চুল পড়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।
কোভিড থেকে সুস্থ হওয়ার ৬ মাস পরেও যদি আপনার চুল পড়া বন্ধ না হয়, কী করবেন?
আপনি যদি মনে করেন যে আপনি কোভিড সংক্রামিত হওয়ার চার থেকে পাঁচ মাস পরেও সুস্থ হয়ে উঠছেন না এবং চুল পড়া এখনও আগের মতো পর্যায়েই আছে, তাহলে অবশ্যই একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের মতামত প্রয়োজন। এছাড়াও কোভিড পরবর্তীকালে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে যায়। সেই অবস্থায় যদি আপনি মানসিক চাপ কাটিয়ে উঠতে না পারেন তবে সেক্ষেত্রে আপনার পক্ষে কোনোরকম ওষুধ বা পরামর্শেই বিশেষ উপকারের আশা নেই।
আপনাকে মানস্কিন এবং শারীরিক চাপ থেকে মুক্ত হতে হলে নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে। সব সময় চুল পড়ার কথা ভাবলেও একপ্রকার দুশ্চিন্তা আসতে পারে যা পক্ষান্তরে আপনার চল পড়ার গতিকে ত্বরান্বিত করে তুলবে। তাই, নিজেকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখার চেষ্টা করুন, দেখা যাবে, আস্তে আস্তে আপনার পারিপার্শ্বিক নানান রোগ কেটে গেছে। সে চুল পড়াই হোক বা সেই কারণে তৈরি হওয়া দুশ্চিন্তা।
আরও পড়ুন: চোখের তলায় ফোলাভাব কীভাবে কাটাবেন? রইল ১০টি ঘরোয়া উপায়